Find the Questions you Need

Showing posts with label Jurisprudence - আইন বিজ্ঞান. Show all posts
Showing posts with label Jurisprudence - আইন বিজ্ঞান. Show all posts

প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম ব্যক্তি বলিতে কি বুঝ?

বিভিন্ন প্রকার ব্যক্তি: ব্যক্তি, প্রাকৃতিক ব্যক্তি, কৃত্রিম ব্যক্তি, অজাত ব্যক্তি, মৃত ব্যক্তি ও পশুর আইনগত অবস্থা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল।

ব্যক্তি: বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১১ ধারায় ব্যক্তির সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যে অধিকার ধারণ, সংরক্ষন ও কর্তব্য পালনে সক্ষম তাদের ব্যক্তি বলা হয়।

স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক ব্যক্তি : যে সব জীবিত মানুষ রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত অধিকার ভোগ ও কর্তব্য পালন করে থাকে সে সব ব্যক্তিকেই স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক ব্যক্তি বলা হয় । এই সব ব্যক্তির অবস্থান আইন ও তত্ত্ব দ্বারা স্বীকৃত। 

আইনানুগ বা কৃত্রিম ব্যক্তি: কৃত্রিম ব্যক্তি বা আইনানুগ ব্যক্তি বলতে কোন বিশেষ সংস্থা বা প্রতিষ্টানকে বুঝায় যারা আইনের দৃষ্টিতে ব্যক্তিত্বের মর্যাদা লাভ করেছে। কোন কোম্পানী, কোন সংস্থা হল আইনানুগ বা কৃত্রিম ব্যক্তির উদাহরণ। কৃত্রিম ব্যক্তির আয়ু অসীম এবং ক্ষমতা আইন দ্বারা সীমাবদ্ধ। ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য : ১. অধিকার ধারণে সক্ষম, ২. অধিকার সংরক্ষনে সক্ষম, ৩. কর্তব্য পালনে সক্ষম । 

আইনানুগ ব্যক্তি বলতে কি বুঝ?

আইনানুগ ব্যাক্তিঃ
সাধারণ অর্থে প্রতিটি মানুষ ব্যক্তি হিসেবে গণ্য হলেও আইন বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে প্রতিটি মানুষ ব্যক্তি নয়। আইন বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে যিনি অধিকার ধারণ, সংরক্ষণ ও কর্তব্য পালন করতে সক্ষম তাকেই আইনগত ব্যক্তি বলা হয়। অর্থাৎ যে সকল ব্যক্তি অধিকার ও কর্তব্য আইনের সহিত প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত তারাই আইনানুগ ব্যক্তি।

Prof. Gray বলেন, যে ব্যক্তি বা সংস্থার উপর আইনসম্মত অধিকার ও কর্তব্য আরোপ করা যায় তাহাই আইনগত ব্যক্তি।

Prof. Salmond বলেন, A legal person is an entity to which right and duties may be attributed. অর্থাৎ আইনগত ব্যক্তি বলতে ঐ ব্যক্তি বা সংস্থাকে বুঝায় ‍যিনি অধিকার ধারণ ও কর্তব্য পালন করতে সক্ষম।

অন্যভাবে বলা যায়, স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক ব্যক্তি ছাড়াও আইন যেসকল কাল্পনিক বা কৃত্রিম ব্যক্তিকে বৈধ অধিকার ও কর্তব্য পালন করার যোগ্য বলে অনুমোদন করে, তাকেও আইনগত ব্যক্তি বলা হয়; যেমন- হিন্দুদের দেবীমূর্তি, মানুষের কোন সংগঠন, শ্রমিক সমিতি, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা কোন বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।

নজীর বলতে কি বুঝ ? (What do you mean by Precedent)?

নজীরের সংজ্ঞাঃ
নজীর বলতে মূলতঃ দৃষ্টান্তকে বুঝানো হয়। এরুপ দৃষ্টান্ত পরবর্তী ক্ষেত্রে কোন যুক্তিতে মডেল বা আদর্শ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়। ইংরেজীতে এটিকে Ruling বলা হয়।

Prof. Keeton  বলেন, A Judicial Precedent is a judicial decision to which authority has in some measure been attached. অর্থাৎ বিচার বিভাগীয় নজীর বলতে এমন একটি বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্তকে বুঝায়, যার প্রতি কর্তৃত্ব আরো করা হয়েছে।

Prof. Jenks বলেন, কোন এখতিয়ারবান আদালত কোন মামলায় আইন সম্পর্কে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তাই নজীর।

Pfor. Gray বলেন, এটি হল আদালতের কথিত ও কৃত এমন কাজ বা সিদ্ধান্ত, যা পরবর্তীতে আইন হিসেবে গণ্য হয়।

নজীর বা পূর্বদৃষ্টান্ত হল উর্দ্ধতন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্ত বা রায়, যা পরবর্তীকালের অনুরূপ কোন মামলায় আদালত কর্তৃক অনুসরণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।


what is Mens Rea/Guilty Mind? দোষী মন কি?

Mens Rea: এর অর্থ দোষী মন, অপরাধমূলক মন. কোনো কাজই অপরাধমূলক হইবে না যদি না তাহা অপরাধের অভিপ্রায়ে বা মনে করা হয়। বিচারের ক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যক্তিকে নিরাপরাধ বিবেচনা করাই সাধারণ নিয়ম। অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ করিয়াছে তাহা প্রমাণের দায়িত্ব অভিযোগকারীর। তবে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলিতে আইন অমান্য করিলেই অপরাধ হয়। অভিপ্রায় যাহাই থাকুক।
 (১) দেশবাসীর স্বার্থে এমন কতকগুলি আইন আছে যাহা সবই মানিয়া চলিতে বাধ্য। সেইসব আইন অমান্য করিলেই অপরাধ হয়।
(২) যাহা জনসাধারণের জন্য বিরক্তির তাহা করা অপরাধ। এক্ষেত্রে অসৎ অভিপ্রায়ের প্রয়োজন নাই।
 (৩) যেক্ষেত্রে স্বত্বাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ফৌজদারী আইন প্রয়োগ করা হয় সেক্ষেত্রে অপরাধমূলক



What is Military Law বা সেনা আইন কি? ও What is Martial Law বা সামরিক শাসন কি?

সেনা আইন (Military Law):
সেনা বিভাগের আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রচলিত নিয়মকানুনকে সৈনিক আইন (Military Law) বলা হয়। শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য সেনা আইন প্রযোজ্য হয়।
সামরিক আইন (Martial Law) বলতে শক্তির সাহায্যে বহিরাক্রমণ, অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ অথবা দাঙ্গা-হাঙ্গামা প্রতিহত করে শান্তি-শৃংখলা পুণর্বহাল করার জন্য সাধারণ আইনের ক্শমতাবলে রাষ্ট্র প্রধান যে বিশেষ জরুরী অবস্থা গ্রহণ করেন, তাকেই সামরিক আইন বলে (Martial Law)।
উইকপিডিয়ায় দেওয়া সামরিক শাসন এর সংজ্ঞাঃ
সামরিক শাসন হল সর্বোচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্তার শাসন যেখানে শাসনকর্তা হন সামরিক বাহিনীর প্রধান স্বয়ং। পূর্ববর্তী সরকারের প্রশাসনিক, আইনি ও বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থার বাতিলকরনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন উক্ত সামরিক প্রধান। সাময়িকভাবে সাধারন শাসকদের ব্যার্থতায় তাদের হাত থেকে সমস্ত ক্ষমতা সামরিক শাসকের হাতে যায় ও কার্যকরী হয়।(উদাঃ নিরাপত্তাজনিত কারনে বা জরুরী অবস্থার ভিত্তিতেও সামরিক শাসন চালু হতে পারে )


আইন বিজ্ঞানের মতবাদ দ্বারা কি বুঝায়? আইন বিজ্ঞানের ৫টি মতবাদ লিখ?

আইন বিজ্ঞানের মতবাদের অর্থঃ
পন্ডিতগণ আইনবিজ্ঞানকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ হতে অধ্যয়ন করেছেন। সাধারণ অর্থে আইনের উৎস, উদ্দেশ্য ও প্রকৃতি সম্বন্ধে মূলতত্বের ধারাবাহিক আলোচনাই হল আইনবিজ্ঞানের মূল কাজ।অথচ এ কাজে আইনবিজ্ঞানীগণ ঐক্যমতে পৌছাতে পারেন নি।তাঁরা স্ব স্ব ধারণা ও মতাদর্শের দৃষ্ঠিভঙ্গিতে এসমস্ত বিষয়াবলী ব্যাখ্যা করেছেন। আইনবিশারদদের প্রদত্ত বিভিন্ন মতামতসমূহ বিশ্লেষণ ও বিন্যাস করে কতগুলি মতবাদের সূচনা করা হয়েছে েএবং এগুলিকেই আইনবিজ্ঞানের মতবাদ বলে।

জুরিসপ্রুডেন্স বা আইন বিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা বা আইনবিজ্ঞানের গুরুত্ব কি কি?


জুরিসপ্রুডেন্স বা আইন বিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা বা আইনবিজ্ঞানের গুরুত্ব সমূহ নিন্মে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলোঃ-

আইনের উৎপত্তি, ক্রমবিকাশ তথা আইনের উৎকর্ষ সাধনে আইন বিজ্ঞানের অবদার আইনের ইতিসাসে অম্লান ও অবিনশ্বর হয়ে থাকবে।আইনবিজ্ঞান অধ্যয়ন ছাড়া আইন সম্পর্কে জ্ঞানাজন করা সম্ভব নয়।আইন বিজ্ঞান হল আইনের প্রতিচ্ছবি। তাই এই বিজ্ঞান পাঠ করা ছাড়া কোন ব্যক্তি আইন বিষয়ে অর্জন করতে পারবে না। 

নিন্মলিখিত কারণ আইনের জ্ঞানাজনে আইনবিজ্ঞান পাঠ করার প্রয়োজন আছে। পয়েন্টসমূহ উল্লেখ করা হলো, যথাঃ-


আইন কি? বা আইন কাকে বলে?

আইন  কাকে বলে?
আইনের একটি সর্বসম্মত ও বিজ্ঞানসম্মত সংজ্ঞা আজও নির্ধারণ করা সম্ভব হয় নাই। আইনকে সংজ্ঞায়িত করা একটি জটিল বিষয়। এর সংজ্ঞা প্রদান করা একটি পুরাতন সমস্যা। অবশ্য আইনের ধ্যান-ধারণা, প্রকৃতি, কার্যকারিতা ও ভিত্তি সম্পর্কে আইন বিজ্ঞানীগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন।আইনের সংজ্ঞা প্রদান করতে গিয়ে কেউ জোর দিয়েছেন আইনের উৎসের উপর, আবার কেউবা আইনের প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে সংজ্ঞা প্রদান করেছেন।

সাধারণভাবে, আইন বলতে আমরা যে কোন কার্যের নিয়মকে বুঝে থাকি। কিন্তু আইন বিজ্ঞানে “আইন” শব্দটি একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ অর্থে ব্যবহৃত হয়।বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫২ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- "আইন" অর্থ কোন আইন, অধ্যাদেশ, আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন, বিজ্ঞপ্তি ও অন্যান্য আইনগত দলিল এবং বাংলাদেশে আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন যে কোন প্রথা বা রীতি।

What is Jurisprudence? আইন বিজ্ঞান কাকে বলে?

জুরিসপ্রুডেন্স কি?
বাংলা ভাষায় ইংরেজী Jurisprudence শব্দটির বিভিন্ন প্রতিশব্দ রয়েছে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সকলের গ্রহণযোগ্য কোন প্রতিশব্দ ঘোষনা না করায় এর বিভিন্ন প্রতিশব্দ দেখা যায়। ইংরেজী jurisprudence শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Juris Prudentia শব্দমালা থেকে উদ্ভূত হয়েছে। Jurisশব্দের অর্থ হল ’আইন’  (Law) এবং Prudentia শব্দের অর্থ হল ‘বিজ্ঞান’ (Science) বা ‘জ্ঞান’ (Knowledge) সুতরাং Jurisprudence শব্দের অর্থ দাঁড়ালো ‘আইনের জ্ঞান’ (Knowledge of law) বা ’আইনবিজ্ঞান’ (Science of law)।
অষ্টিনের মতে আইন বিজ্ঞান, jurisprudence is the philosophy of positive law. 
হল্যান্ডের মতে আইন বিজ্ঞান, jurisprudence is the formal science of positive law.