Find the Questions you Need

হিন্দু আইন

হিন্দু আইন প্রশ্নোত্তর (৪০)

হিন্দু আইনের প্রধান অধ্যায়সমূহ)

অধ্যায় ১: হিন্দু পার্সোনাল ল’ (Hindu Personal Law)

প্রশ্ন ১: হিন্দু পার্সোনাল ল’ কী?
হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কিত আইন ও নিয়মাবলী।
প্রশ্ন ২: হিন্দু পার্সোনাল ল’ কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার, সম্পত্তি, পালন-পোষণ ও অন্যান্য পারিবারিক বিষয়ে।
প্রশ্ন ৩: হিন্দু পার্সোনাল ল’ এর উৎস কী কী?
ধর্মশাস্ত্র, মনুস্মৃতি, প্রথাগত নিয়ম, এবং আধুনিক আইন।
প্রশ্ন ৪: হিন্দু পার্সোনাল ল’ কে প্রণীত করে?
ভারত সরকার এবং সংশ্লিষ্ট আইন প্রণেতারা।
প্রশ্ন ৫: হিন্দু পার্সোনাল ল’ এর মূল উদ্দেশ্য কী?
হিন্দু ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়ে আইনি নিরাপত্তা ও নিয়মাবলী প্রদান।
প্রশ্ন ৬: হিন্দু পার্সোনাল ল’ এর অধীন কে কে পড়ে?
হিন্দু, শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।
প্রশ্ন ৭: হিন্দু পার্সোনাল ল’ এর প্রধান বিষয়সমূহ কী কী?
বিবাহ, বংশ, উত্তরাধিকার, দায়িত্ব ও সম্পত্তি ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৮: হিন্দু পার্সোনাল ল’ কত সালে আধুনিক রূপ পায়?
১৯৫৫ সালের হিন্দু পার্সোনাল ল’ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে।
প্রশ্ন ৯: হিন্দু পার্সোনাল ল’ ও অন্যান্য ধর্মীয় ব্যক্তিগত আইনগুলোর পার্থক্য কী?
প্রতিটি ধর্মের ব্যক্তিগত আইন ধর্মীয় বিধান ও প্রথার উপর ভিত্তি করে আলাদা।
প্রশ্ন ১০: হিন্দু পার্সোনাল ল’ অনুযায়ী বিবাহবিচ্ছেদের নিয়ম কী?
বিবাহবিচ্ছেদ স্বীকৃত কারণ থাকলে আদালতের মাধ্যমে হতে পারে।
প্রশ্ন ১১: হিন্দু পার্সোনাল ল’ কি নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য সমান অধিকার দেয়?
হ্যাঁ, আধুনিক আইন সমান অধিকার নিশ্চিত করে।
প্রশ্ন ১২: হিন্দু পার্সোনাল ল’ অনুযায়ী সম্পত্তির অধিকার কেমন?
উত্তরাধিকার ও সম্পত্তি ভাগের নিয়ম নির্ধারণ করে।
প্রশ্ন ১৩: হিন্দু পার্সোনাল ল’ তে কন্যাদের অধিকার আছে কি?
হ্যাঁ, কন্যাদেরও সম্পত্তি ও উত্তরাধিকার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
প্রশ্ন ১৪: হিন্দু পার্সোনাল ল’ এর অধীনে বিধবা নারীদের কী অধিকার আছে?
বিধবা নারীরা সম্পত্তি, পেনশন ও পুনরায় বিবাহ করার অধিকার পায়।
প্রশ্ন ১৫: হিন্দু পার্সোনাল ল’ অনুযায়ী দায়িত্ব বলতে কী বোঝায়?
পরিবার ও সমাজে সদস্যদের কর্তব্য ও বাধ্যবাধকতা।
প্রশ্ন ১৬: হিন্দু পার্সোনাল ল’ এর অধীনে সন্তানদের অধিকার কী?
সম্পত্তি, শিক্ষা ও পোষণের অধিকার।
প্রশ্ন ১৭: হিন্দু পার্সোনাল ল’ কত প্রকারের?
মূলত পার্সোনাল আইন, উত্তরাধিকার আইন, বিবাহ আইন ইত্যাদি ভাগে বিভক্ত।
প্রশ্ন ১৮: হিন্দু পার্সোনাল ল’ এর আওতায় গৃহকর্তা কীভাবে নির্ধারিত?
ঐতিহ্য ও আইন অনুযায়ী পরিবারের প্রধান ব্যক্তি।
প্রশ্ন ১৯: হিন্দু পার্সোনাল ল’ সংশোধন হয় কি?
সময় সময় সমাজের পরিবর্তনের সঙ্গে সংশোধন হয়।
প্রশ্ন ২০: হিন্দু পার্সোনাল ল’ এর প্রধান চ্যালেঞ্জ কী?
ধর্মীয় প্রথা ও আধুনিক আইনের মধ্যে সামঞ্জস্যতা রাখা।

অধ্যায় ২: হিন্দু বিবাহ আইন (Hindu Marriage Law)

প্রশ্ন ১: হিন্দু বিবাহ আইন কী?
হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাহ সম্পর্কিত আইন ও নিয়মাবলী।
প্রশ্ন ২: হিন্দু বিবাহ আইন কোন আইনে প্রণীত?
১৯৫৫ সালের হিন্দু বিবাহ আইন (Hindu Marriage Act, 1955) দ্বারা।
প্রশ্ন ৩: হিন্দু বিবাহের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত কী কী?
উভয়ের বয়স, পারস্পরিক সম্মতি, নিকটাত্মীয় সম্পর্ক না থাকা ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৪: হিন্দু বিবাহ কত বয়স থেকে বৈধ?
পুরুষের জন্য ২১ বছর, মহিলার জন্য ১৮ বছর।
প্রশ্ন ৫: হিন্দু বিবাহে কনসেন্টের গুরুত্ব কী?
বিবাহের জন্য উভয়ের ইচ্ছা ও সম্মতি আবশ্যক।
প্রশ্ন ৬: হিন্দু বিবাহ কোন ধর্মীয় নিয়ম অনুসরণ করে?
হিন্দু ধর্মীয় বিধান ও প্রথা অনুসারে।
প্রশ্ন ৭: হিন্দু বিবাহে অবৈধ কনসেন্ট কী বোঝায়?
বিবাহবাধ্যতার জন্য বাধ্যতামূলক সম্মতি না থাকা।
প্রশ্ন ৮: হিন্দু বিবাহের বৈধতা কোন কর্তৃপক্ষ যাচাই করে?
সাধারণত, আদালত বা নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ।
প্রশ্ন ৯: হিন্দু বিবাহের জন্য নিবন্ধন আবশ্যক কি?
নিবন্ধন আইন অনুযায়ী এটি বাধ্যতামূলক হতে পারে।
প্রশ্ন ১০: হিন্দু বিবাহে কোন রকম বারণ রয়েছে?
নিকটাত্মীয় বিবাহ, পূর্বের বিবাহের অস্তিত্ব থাকা ইত্যাদি।
প্রশ্ন ১১: হিন্দু বিবাহ আইন কি একগামিতা সমর্থন করে?
হ্যাঁ, একগামিতা বৈধ।
প্রশ্ন ১২: হিন্দু বিবাহের বৈধতার জন্য কোন ধর্মীয় রীতি পালন আবশ্যক?
সাধারণত সাপ্তপদী রীতি পালন করা হয়।
প্রশ্ন ১৩: হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী বিয়ের জন্য বাধ্যবাধকতা কী কী?
উভয় পক্ষের বয়স, সম্মতি, অবিবাহিত হওয়া।
প্রশ্ন ১৪: হিন্দু বিবাহে বিচ্ছেদের নিয়ম কী?
বিচ্ছেদ আদালতের মাধ্যমে বা সম্মতিপূর্বক হতে পারে।
প্রশ্ন ১৫: হিন্দু বিবাহের অন্তর্গত কনসেন্ট কবে বাতিলযোগ্য?
বলাৎকার বা ভ্রান্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত হলে।
প্রশ্ন ১৬: হিন্দু বিবাহ আইন কি পুনর্বিবাহ অনুমোদন করে?
হ্যাঁ, বিধিবদ্ধ শর্তে পুনর্বিবাহ অনুমোদিত।
প্রশ্ন ১৭: হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী বিয়ের সময় কোন দলিল প্রয়োজন?
বিবাহ নিবন্ধনের জন্য প্রমাণপত্র দরকার।
প্রশ্ন ১৮: হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী কনসেন্ট ব্যতিরেকে বিবাহ বৈধ হবে?
না, কনসেন্ট বাধ্যতামূলক।
প্রশ্ন ১৯: হিন্দু বিবাহ আইন কি সমকামী বিবাহ সমর্থন করে?
না, বর্তমানে তা বৈধ নয়।
প্রশ্ন ২০: হিন্দু বিবাহ আইন সংশোধন হয় কি?
সময় সময় সমাজের পরিবর্তনের সঙ্গে সংশোধন হয়।

অধ্যায় ৩: হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদ আইন (Hindu Divorce Law)

প্রশ্ন ১: হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদ আইন কী?
হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইন ও নিয়মাবলী।
প্রশ্ন ২: হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদ আইন কোন আইনে প্রণীত?
১৯৫৫ সালের হিন্দু বিবাহ আইন (Hindu Marriage Act, 1955) এর অধীনে।
প্রশ্ন ৩: হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদের জন্য কি কোন সময়সীমা নির্ধারিত আছে?
বিবাহের অন্তত এক বছর পর বিবাহবিচ্ছেদ আবেদন করা যায়।
প্রশ্ন ৪: বিবাহবিচ্ছেদের কি জন্য grounds (মৌলিক কারণ) থাকতে হবে?
হ্যাঁ, আইন অনুযায়ী বৈধ কারণ থাকতে হবে।
প্রশ্ন ৫: হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদের সাধারণ grounds কী কী?
ত্যাগ, নির্যাতন, পরিত্যাগ, মানসিক অসঙ্গতি ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৬: 'Cruelty' grounds কী বোঝায়?
দাম্পত্য জীবনে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন।
প্রশ্ন ৭: 'Desertion' এর অর্থ কী?
অকারণে এক বছর বা তার বেশি সময় ধরে একপক্ষ অন্যপক্ষকে ত্যাগ করা।
প্রশ্ন ৮: হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদে 'Adultery' grounds কী?
বিবাহবহির্ভূত অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন।
প্রশ্ন ৯: হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদের জন্য কি মিউচুয়াল কনসেন্ট দরকার?
না, একপক্ষের আবেদনেও হতে পারে।
প্রশ্ন ১০: মিউচুয়াল কনসেন্ট বিবাহবিচ্ছেদ কী?
দুই পক্ষের সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদ।
প্রশ্ন ১১: মিউচুয়াল কনসেন্ট বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া কেমন?
দু’পক্ষ আবেদন করলে আদালত দ্রুত বিবাহবিচ্ছেদ দেয়।
প্রশ্ন ১২: হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদে কি শিশুদের হেফাজত নির্ধারণ হয়?
হ্যাঁ, আদালত শিশুর সেরা স্বার্থে সিদ্ধান্ত দেয়।
প্রশ্ন ১৩: হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদে কি অর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা আছে?
হ্যাঁ, আদালত আলিমনি বা মজুরির ব্যবস্থা করতে পারে।
প্রশ্ন ১৪: কি কারণে আদালত বিবাহবিচ্ছেদ আবেদন বাতিল করতে পারে?
ভুয়া অভিযোগ বা অপর্যাপ্ত প্রমাণ হলে।
প্রশ্ন ১৫: হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদে 'Insanity' grounds কী?
মানসিক অসুস্থতা যা বিবাহে বাধা সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন ১৬: হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদের জন্য 'Conversion' grounds কী?
একপক্ষ অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হলে।
প্রশ্ন ১৭: 'Renunciation' grounds কী বোঝায়?
একপক্ষ ধর্ম ত্যাগ করে, যা বিবাহের অব্যবহার্যতা সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন ১৮: হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদে 'Venereal Disease' grounds কী?
যে কোনো সংক্রামক রোগ যা বিবাহ জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন ১৯: হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আদালতে কোন প্রমাণ দরকার?
Grounds সম্পর্কিত যথাযথ প্রমাণ ও সাক্ষী।
প্রশ্ন ২০: হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে কাদের সহায়তা প্রয়োজন?
আইনজীবী এবং প্রয়োজনীয় কর্তৃপক্ষ।
প্রশ্ন ২১: কি কারণে বিবাহবিচ্ছেদ আবেদন করা যায় না?
অবৈধ উদ্দেশ্য বা মিথ্যা অভিযোগে।
প্রশ্ন ২২: বিবাহবিচ্ছেদ পেলে কি পুনর্বিবাহ করা যায়?
হ্যাঁ, আইন অনুযায়ী পুনর্বিবাহ করা যায়।
প্রশ্ন ২৩: কি কারণে হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদ দীর্ঘ সময় নিতে পারে?
জটিল মামলা, প্রমাণের অভাব বা পক্ষদের দ্বন্দ্ব।
প্রশ্ন ২৪: হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদ আবেদন কিভাবে শুরু হয়?
আদালতে আবেদনপত্র জমা দিয়ে।
প্রশ্ন ২৫: হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদের জন্য কোন ডকুমেন্ট প্রয়োজন?
বিবাহ সনদ, পরিচয়পত্র ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দলিল।
প্রশ্ন ২৬: কি কারণে হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদ বাতিল হতে পারে?
ভুয়া মামলা বা বৈধ কারণ প্রমাণ না হলে।
প্রশ্ন ২৭: কি কারণে হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদ আবেদন প্রত্যাখ্যান হতে পারে?
কোন Grounds না থাকা বা প্রমাণ না থাকা।
প্রশ্ন ২৮: বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে আদালত কি বিবাহের অবস্থা পরীক্ষা করে?
হ্যাঁ, বিবাহের বৈধতা ও অবস্থা যাচাই করে।
প্রশ্ন ২৯: কি কারণে হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদ কোর্টে দীর্ঘস্থায়ী হয়?
পক্ষসমূহের আপত্তি ও প্রমাণের দুর্বলতা।
প্রশ্ন ৩০: হিন্দু বিবাহবিচ্ছেদের পর কি বৈধভাবে সম্পত্তি বণ্টন হয়?
আদালত দায়িত্ব অনুযায়ী সম্পত্তি ভাগ করে দেয়।

অধ্যায় ৪: হিন্দু উত্তরাধিকার আইন (Hindu Succession Law)

প্রশ্ন ১: হিন্দু উত্তরাধিকার আইন কী?
হিন্দু ব্যক্তিদের সম্পত্তি উত্তরাধিকার সম্পর্কিত আইন ও বিধান।
প্রশ্ন ২: হিন্দু উত্তরাধিকার আইন কোন আইনে নিয়ন্ত্রিত?
১৯৫৬ সালের হিন্দু উত্তরাধিকার আইন (Hindu Succession Act, 1956)।
প্রশ্ন ৩: হিন্দু উত্তরাধিকার আইন কাদের জন্য প্রযোজ্য?
হিন্দু, শিখ, জৈন ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য।
প্রশ্ন ৪: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে স্বামী ও স্ত্রী এর অধিকার কী?
উভয়েরই বৈধ উত্তরাধিকার অধিকার আছে।
প্রশ্ন ৫: হিন্দু উত্তরাধিকার আইন অনুসারে কে উত্তরাধিকারী হয়?
প্রথমে পুত্র এবং কন্যা, এরপর অন্যান্য আত্মীয়রা।
প্রশ্ন ৬: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে পারিবারিক সম্পত্তি কী?
যে সম্পত্তি পারিবারিক সদস্যদের মধ্যে ভাগ হয়।
প্রশ্ন ৭: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে কন্যার অধিকার কেমন?
কন্যাও সমানভাবে উত্তরাধিকারী।
প্রশ্ন ৮: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে পুত্রের অধিকারের ধরন কী?
সমগ্র বা অংশীদারী উত্তরাধিকার।
প্রশ্ন ৯: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে ‘পুরুষের হিত’ কী বোঝায়?
পুরুষদের কাছে অতিরিক্ত কিছু অধিকার থাকে।
প্রশ্ন ১০: হিন্দু উত্তরাধিকার আইন কি কোর্টের বিচারাধীন সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ করে?
হ্যাঁ, আইন অনুসারে সম্পত্তির বণ্টন হয়।
প্রশ্ন ১১: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে ‘ব্যবসায়িক সম্পত্তি’ কী?
ব্যক্তিগত ব্যবসায়ের সম্পত্তি।
প্রশ্ন ১২: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে পিতার ভূমিকা কী?
পিতা পরিবারের প্রধান হিসেবে সম্পত্তি বন্টনে প্রভাবশালী।
প্রশ্ন ১৩: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে মৃত ব্যক্তির স্বত্ব কীভাবে বিতরণ হয়?
আইনের নিয়ম অনুযায়ী উত্তরাধিকারের মাধ্যমে।
প্রশ্ন ১৪: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে ‘সহবাসী’ সদস্যদের অধিকার আছে?
না, শুধুমাত্র বৈধ সদস্যদের।
প্রশ্ন ১৫: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে মেয়ে কী সম্পত্তির অংশীদারী?
হ্যাঁ, সম্পূর্ণ অংশীদারী।
প্রশ্ন ১৬: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে উত্তরাধিকারীর অধিকার কখন কার্যকর হয়?
মৃত ব্যক্তির মৃত্যু পর।
প্রশ্ন ১৭: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে উত্তরাধিকারীর সংখ্যার সীমা আছে?
না, আইনে সীমাবদ্ধতা নেই।
প্রশ্ন ১৮: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে জমির অধিকার কেমন?
উত্তরাধিকারী ভাগ করে জমি পায়।
প্রশ্ন ১৯: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে ‘সহোদর’দের ভূমিকা কী?
সহোদররা মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারী হতে পারে।
প্রশ্ন ২০: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে ‘জায়েদার’ কী?
মৃত ব্যক্তির স্থায়ী উত্তরাধিকারী।
প্রশ্ন ২১: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে উত্তরাধিকার বণ্টন কীভাবে হয়?
আইনের ধারাবলী অনুযায়ী সমান ভাগে।
প্রশ্ন ২২: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে ‘উপহার’ কি উত্তরাধিকার অন্তর্ভুক্ত?
না, উপহার সম্পত্তি অন্তর্ভুক্ত নয়।
প্রশ্ন ২৩: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে ‘বিশেষ সুযোগ’ কী?
কিছু সদস্যকে অতিরিক্ত অধিকার দেওয়া।
প্রশ্ন ২৪: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে উত্তরাধিকারীর স্থানান্তর কেমন?
আইনের বিধি মেনে স্থানান্তর সম্ভব।
প্রশ্ন ২৫: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে ‘অস্বীকৃতি’ কী?
উত্তরাধিকার গ্রহণ না করার অধিকার।
প্রশ্ন ২৬: হিন্দু উত্তরাধিকার আইন কি সম্পত্তি বিক্রি করতে দেয়?
হ্যাঁ, উত্তরাধিকারী বিক্রয় করতে পারেন।
প্রশ্ন ২৭: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে কোন সম্পত্তি অন্তর্ভুক্ত নয়?
ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা ও ঋণ।
প্রশ্ন ২৮: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে উত্তরাধিকারীকে কি কর্তব্য পালন করতে হয়?
হ্যাঁ, পরিবারের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
প্রশ্ন ২৯: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে মেয়েদের অধিকারের জন্য কোন আইন আছে?
হ্যাঁ, ২০০৫ সালের সংশোধনী।
প্রশ্ন ৩০: হিন্দু উত্তরাধিকার আইন কি মহিলাদের অধিকারে পরিবর্তন এনেছে?
হ্যাঁ, মহিলাদের অধিকারে অনেক উন্নতি হয়েছে।

অধ্যায় ৫: হিন্দু সম্পত্তি আইন (Hindu Property Law)

প্রশ্ন ১: হিন্দু সম্পত্তি আইন কী?
হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের সম্পত্তি অধিকার এবং বণ্টনের নিয়মাবলি।
প্রশ্ন ২: হিন্দু সম্পত্তি আইনের প্রধান উৎস কী?
হিন্দু উত্তরাধিকার আইন, হিন্দু বিবাহ আইন ও ধর্মশাস্ত্র।
প্রশ্ন ৩: হিন্দু সম্পত্তি আইনে সম্পত্তির ধরন কী কী?
ব্যক্তিগত সম্পত্তি, পারিবারিক সম্পত্তি ও যৌথ সম্পত্তি।
প্রশ্ন ৪: হিন্দু সম্পত্তি আইনে ব্যক্তিগত সম্পত্তি কী?
ব্যক্তি নিজে অর্জিত এবং ব্যবহৃত সম্পত্তি।
প্রশ্ন ৫: হিন্দু সম্পত্তি আইনে পারিবারিক সম্পত্তি কী?
পরিবারের সকল সদস্যের যৌথ মালিকানাধীন সম্পত্তি।
প্রশ্ন ৬: হিন্দু সম্পত্তি আইনে ‘স্মৃতি’ কী ভূমিকা রাখে?
স্মৃতির মাধ্যমে হিন্দু ধর্মীয় সম্পত্তি নিয়মাবলি প্রতিষ্ঠিত।
প্রশ্ন ৭: হিন্দু সম্পত্তি আইনে ‘মুত্তাকদার’ কী?
সম্পত্তির স্থায়ী অধিকারী।
প্রশ্ন ৮: হিন্দু সম্পত্তি আইনে মহিলাদের অধিকার কেমন?
মহিলারা পুরুষদের সমান অধিকারী।
প্রশ্ন ৯: হিন্দু সম্পত্তি আইন অনুযায়ী সম্পত্তি বিক্রয় করা যায়?
হ্যাঁ, তবে আইন মেনে।
প্রশ্ন ১০: হিন্দু সম্পত্তি আইন কি ব্যক্তিগত সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ন্ত্রণ করে?
হ্যাঁ, উত্তরাধিকার আইন অনুসারে।
প্রশ্ন ১১: হিন্দু সম্পত্তি আইন কি পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ করে দেয়?
হ্যাঁ, আইন অনুসারে সমান ভাগে।
প্রশ্ন ১২: হিন্দু সম্পত্তি আইনে ‘জমি’ এর মালিকানা কেমন?
উত্তরাধিকার ও বণ্টনের মাধ্যমে।
প্রশ্ন ১৩: হিন্দু সম্পত্তি আইনে ‘গিফট’ কীভাবে বিবেচিত হয়?
উত্তরাধিকার থেকে আলাদা।
প্রশ্ন ১৪: হিন্দু সম্পত্তি আইনে ‘ঋণ’ সম্পত্তির আওতায় পড়ে?
না, ঋণ সম্পত্তি নয়।
প্রশ্ন ১৫: হিন্দু সম্পত্তি আইনে ‘বিবাহিত মহিলার’ সম্পত্তি কেমন?
নিজস্ব সম্পত্তির অধিকার থাকে।
প্রশ্ন ১৬: হিন্দু সম্পত্তি আইন কি আত্মীয়স্বজনদের সম্পত্তি ভাগ করে দেয়?
হ্যাঁ, উত্তরাধিকার অনুযায়ী।
প্রশ্ন ১৭: হিন্দু সম্পত্তি আইনে ‘মৃত্যু পরবর্তী সম্পত্তি বণ্টন’ কীভাবে হয়?
আইন অনুসারে নির্ধারিত ভাগে।
প্রশ্ন ১৮: হিন্দু সম্পত্তি আইনে ‘ক্যাটাগরি’ হিসেবে কী কী আছে?
ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও যৌথ সম্পত্তি।
প্রশ্ন ১৯: হিন্দু সম্পত্তি আইনে সম্পত্তি বিক্রয়ের শর্ত কী?
আইনের বিধি মেনে এবং সকল উত্তরাধিকারীর সম্মতি।
প্রশ্ন ২০: হিন্দু সম্পত্তি আইন কি সম্পত্তি সংরক্ষণের নিয়ম দেয়?
হ্যাঁ, ঐতিহ্যবাহী নিয়ম অনুসারে।
প্রশ্ন ২১: হিন্দু সম্পত্তি আইন অনুযায়ী ‘উত্তরাধিকারী’ কে?
সম্পত্তি পাওয়ার অধিকারী ব্যক্তি।
প্রশ্ন ২২: হিন্দু সম্পত্তি আইনে ‘পারিবারিক জমি’ কী?
সকল সদস্যের যৌথ মালিকানাধীন জমি।
প্রশ্ন ২৩: হিন্দু সম্পত্তি আইনে সম্পত্তি দখল কেমন হয়?
আইনের অধীনে সম্পত্তি দখল করা যায়।
প্রশ্ন ২৪: হিন্দু সম্পত্তি আইন কি সম্পত্তি বিক্রয় ও স্থানান্তর নিয়ন্ত্রণ করে?
হ্যাঁ, আইনের বিধি অনুযায়ী।
প্রশ্ন ২৫: হিন্দু সম্পত্তি আইনে ‘গৃহস্থালির সম্পত্তি’ কী?
পরিবারের ব্যবহৃত জিনিসপত্র।
প্রশ্ন ২৬: হিন্দু সম্পত্তি আইন কি সম্পত্তি বণ্টনে বিবাহের অবস্থা বিবেচনা করে?
হ্যাঁ, বিবাহিত সদস্যদের অধিকার নির্ধারণে।
প্রশ্ন ২৭: হিন্দু সম্পত্তি আইনে ‘সহযোগী সদস্য’ কী?
যে সদস্যরা পরিবারিক সম্পত্তিতে অংশীদার।
প্রশ্ন ২৮: হিন্দু সম্পত্তি আইন কি সম্পত্তির উপার্জন নিয়ন্ত্রণ করে?
না, উপার্জন ব্যক্তিগত।
প্রশ্ন ২৯: হিন্দু সম্পত্তি আইনে সম্পত্তি বণ্টনের ক্ষেত্রে কোন আইন প্রযোজ্য?
হিন্দু উত্তরাধিকার আইন।
প্রশ্ন ৩০: হিন্দু সম্পত্তি আইন কি মহিলাদের সম্পত্তিতে অধিকার দেয়?
হ্যাঁ, সমান অধিকার দেয়।

অধ্যায় ৬: হিন্দু পুত্রত্ব ও কন্যা অধিকার আইন (Rights of Sons and Daughters)

প্রশ্ন ১: হিন্দু পুত্রত্ব ও কন্যা অধিকার আইন কী?
এই আইন হিন্দু পুত্র এবং কন্যাদের সম্পত্তিতে সমান অধিকার প্রদান করে।
প্রশ্ন ২: পুত্র এবং কন্যার অধিকার সমান কেন?
সমাজে লিঙ্গভেদ না করে সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য।
প্রশ্ন ৩: কোন আইন পুত্র ও কন্যাদের অধিকার নির্ধারণ করে?
হিন্দু উত্তরাধিকার আইন, ২০০৫।
প্রশ্ন ৪: পুত্র ও কন্যার অধিকার কি সম্পত্তিতে প্রযোজ্য?
হ্যাঁ, পিতার বা মাতার সম্পত্তিতে।
প্রশ্ন ৫: পুত্র ও কন্যা কি একই হারে উত্তরাধিকারী?
হ্যাঁ, আইন অনুযায়ী সমান।
প্রশ্ন ৬: কন্যারা পিতার সম্পত্তিতে কি অধিকার পায়?
পুরুষ সন্তানদের সমান অধিকার।
প্রশ্ন ৭: পুত্র কি পরিবারের প্রধান উত্তরাধিকারী?
আইন অনুযায়ী এখন না, সবাই সমান।
প্রশ্ন ৮: পুত্র ও কন্যার উত্তরাধিকার ভাগ কেমন হয়?
একই হারে সমান ভাগে।
প্রশ্ন ৯: হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে কোন লিঙ্গ বৈষম্য নেই?
হ্যাঁ, আইন অনুযায়ী সমান অধিকার।
প্রশ্ন ১০: পুত্র কন্যা কি যৌথ সম্পত্তিতে অংশীদার?
হ্যাঁ, তারা অংশীদার।
প্রশ্ন ১১: কন্যাদের স্বামী কি তাদের সম্পত্তিতে অধিকার পায়?
না, স্বামী নিজে অধিকারী নয়।
প্রশ্ন ১২: পুত্র ও কন্যার অধিকার কি মৃত্যুর পর প্রযোজ্য?
হ্যাঁ, উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী।
প্রশ্ন ১৩: পুত্র ও কন্যার কি পারিবারিক সম্পত্তিতে সমান অধিকার আছে?
হ্যাঁ, সমান অধিকার।
প্রশ্ন ১৪: পুত্র বা কন্যা অবৈধ হলে কি তাদের অধিকার থাকে?
হ্যাঁ, যদি আইন স্বীকৃতি দেয়।
প্রশ্ন ১৫: পুত্র ও কন্যার কি ভাগে কোনো পার্থক্য আছে?
না, কোনো পার্থক্য নেই।
প্রশ্ন ১৬: কন্যারা কি পিতার জমি বিক্রি করতে পারে?
হ্যাঁ, আইন মেনে।
প্রশ্ন ১৭: পুত্র কন্যার আদান-প্রদান কেমন হয়?
উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী।
প্রশ্ন ১৮: পুত্র কন্যার অধিকার কি বিবাহের পরেও থাকে?
হ্যাঁ, বিবাহের পরেও অধিকার থাকে।
প্রশ্ন ১৯: পুত্র কন্যার অধিকার কি তাদের জীবদ্দশায় প্রয়োগ হয়?
হ্যাঁ, জীবদ্দশায়ও অধিকার থাকে।
প্রশ্ন ২০: পুত্র কন্যা কি ঐতিহ্যগত সম্পত্তিতে সমান অধিকারী?
হ্যাঁ, ঐতিহ্যগত সম্পত্তিতেও।
প্রশ্ন ২১: পুত্র কন্যা কি একসাথে সম্পত্তি বিক্রি করতে পারে?
সম্মতি থাকলে পারে।
প্রশ্ন ২২: কন্যাদের কি সম্পত্তি সম্পর্কে স্বতন্ত্র অধিকার আছে?
হ্যাঁ, স্বতন্ত্র অধিকার আছে।
প্রশ্ন ২৩: পুত্র কন্যা কি সম্পত্তি ভাগে আইনত পক্ষপাতিত্ব পায়?
না, আইন পক্ষপাতহীন।
প্রশ্ন ২৪: পুত্র কন্যা কি একই সময়ে উত্তরাধিকারী হতে পারে?
হ্যাঁ, একই সময়ে।
প্রশ্ন ২৫: পুত্র কন্যার অধিকার কি জমির মালিকানায় প্রযোজ্য?
হ্যাঁ, জমির মালিকানায় প্রযোজ্য।
প্রশ্ন ২৬: পুত্র কন্যা কি পিতার বাকি দায়বদ্ধতা বহন করে?
না, ব্যক্তিগত দায়িত্ব নয়।
প্রশ্ন ২৭: কন্যাদের কি পিতার সম্পত্তি বিক্রয়ের অনুমতি প্রয়োজন?
সাধারণত না, তবে পরিবারের সম্মতি দরকার।
প্রশ্ন ২৮: পুত্র কন্যার অধিকার কি ধর্ম অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে?
না, হিন্দু আইন সর্বত্র প্রযোজ্য।
প্রশ্ন ২৯: পুত্র কন্যার অধিকার কি আদায়ের জন্য আদালতে যেতে পারে?
হ্যাঁ, আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।
প্রশ্ন ৩০: পুত্র কন্যার অধিকার কি পরিবর্তনযোগ্য?
আইন ছাড়া সাধারণত পরিবর্তনযোগ্য নয়।

অধ্যায় ৭: হিন্দু কন্যাদান আইন (Law of Dowry and Gifts)

প্রশ্ন ১: হিন্দু কন্যাদান আইন কী?
হিন্দু সমাজে কন্যা বিবাহের সময় দেয়া উপহার বা দান সংক্রান্ত আইন।
প্রশ্ন ২: কন্যাদান কী বোঝায়?
বিবাহের সময় কন্যার পরিবারের পক্ষ থেকে বর বা বর পরিবারের দেয়া অর্থ বা সম্পত্তি।
প্রশ্ন ৩: কন্যাদানের উদ্দেশ্য কী?
বিবাহকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা এবং কন্যার জীবনযাত্রা সুরক্ষিত করা।
প্রশ্ন ৪: কন্যাদান আইন কি কন্যাদের সুরক্ষা দেয়?
হ্যাঁ, বিশেষত কন্যাদানের অবৈধ চাপ ও অত্যাচার থেকে সুরক্ষা।
প্রশ্ন ৫: কন্যাদানের পরিমাণ নির্ধারণ কার?
আইনি সীমাবদ্ধতা অনুযায়ী নির্ধারণ।
প্রশ্ন ৬: কন্যাদান কি অবৈধ চাপ হিসেবে গণ্য হয়?
হ্যাঁ, যখন এটি জোরপূর্বক বা অত্যাচারের জন্য প্রয়োগ হয়।
প্রশ্ন ৭: কন্যাদান আইন কোন আইনের অধীনে প্রযোজ্য?
দাম্ভিকতা ও অত্যাচার প্রতিরোধ আইন (Dowry Prohibition Act) এর অধীনে।
প্রশ্ন ৮: কন্যাদানের অপরাধ কী?
অবৈধ কন্যাদান আদায় এবং চাপ সৃষ্টি করা।
প্রশ্ন ৯: কন্যাদান দিতে বাধ্য করা কি আইনত দণ্ডনীয়?
হ্যাঁ, দণ্ডনীয় অপরাধ।
প্রশ্ন ১০: কন্যাদান সংক্রান্ত বিরোধের সমাধান কীভাবে হয়?
আদালত ও পরামর্শ মাধ্যমে।
প্রশ্ন ১১: কন্যাদান কি শুধুমাত্র অর্থই হতে পারে?
না, তা হতে পারে সম্পত্তি, গহনাসহ অন্য উপহার।
প্রশ্ন ১২: কন্যাদানের সময় কোন দল জড়িত থাকে?
কন্যার পরিবার ও বর পক্ষ।
প্রশ্ন ১৩: কন্যাদান দিতে না পারলে কি আইনি সমস্যা হতে পারে?
সাধারণত না, যদি জোরপূর্বক না হয়।
প্রশ্ন ১৪: কন্যাদানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়?
আইনি পদক্ষেপ ও জরিমানা হতে পারে।
প্রশ্ন ১৫: কন্যাদানের জন্য কি আদালতে মামলা করা যায়?
হ্যাঁ, অবৈধ চাপের ক্ষেত্রে।
প্রশ্ন ১৬: কন্যাদান কি ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী প্রথাগত?
হ্যাঁ, তবে এখন আইনের নিয়ন্ত্রণে।
প্রশ্ন ১৭: কন্যাদানের পরিমাণ কি পরিবারের আয়ের উপর নির্ভর করে?
হ্যাঁ, সাধারণত নির্ভর করে।
প্রশ্ন ১৮: কন্যাদানের জন্য আইনি কোন নীতিমালা আছে?
দাম্ভিকতা ও অত্যাচার প্রতিরোধ আইন।
প্রশ্ন ১৯: কন্যাদান কি কখনো বাধ্যতামূলক?
আইনগতভাবে নয়, কিন্তু সামাজিক রীতিতে প্রচলিত।
প্রশ্ন ২০: কন্যাদানের জন্য কোন রেকর্ড রাখা হয়?
কোন আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই, তবে পরিবারের নথি থাকতে পারে।
প্রশ্ন ২১: কন্যাদানের বিরুদ্ধে অভিযোগের কি শাস্তি আছে?
হ্যাঁ, জরিমানা ও কারাদণ্ড।
প্রশ্ন ২২: কন্যাদান কি কন্যার স্বার্থে হয়?
মৌলিকভাবে তা কন্যার জন্য হলেও, অপব্যবহার হয়।
প্রশ্ন ২৩: কন্যাদান আইন কি পুরুষদের জন্য ক্ষতিকর?
না, এটি শুধুমাত্র অপব্যবহার রোধ করে।
প্রশ্ন ২৪: কন্যাদান কি বর পরিবারের সম্পত্তি হতে দিতে হয়?
না, কন্যার পরিবার থেকে বর পক্ষকে দেয়া হয়।
প্রশ্ন ২৫: কন্যাদান আইন কবে চালু হয়েছিল?
১৯৬১ সালে ভারতীয় দায়িত্ব আইন চালু হয়েছিল।
প্রশ্ন ২৬: কন্যাদান কি সামাজিক রীতি হিসেবে অব্যাহত আছে?
হ্যাঁ, যদিও আইন কঠোর।
প্রশ্ন ২৭: কন্যাদানের মাধ্যমে কি কন্যার অধিকার সুরক্ষিত হয়?
আংশিক হলেও তা হয়।
প্রশ্ন ২৮: কন্যাদান কি আদালতে প্রমাণ করা সম্ভব?
হ্যাঁ, সঠিক নথি থাকলে।
প্রশ্ন ২৯: কন্যাদান দিতে বাধ্য হওয়া কি আইনত নিষিদ্ধ?
হ্যাঁ, অবৈধ চাপ জোরদার দণ্ডনীয়।
প্রশ্ন ৩০: কন্যাদান প্রতিরোধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?
আইনি ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি।

অধ্যায় ৮: হিন্দু অনুসূচী ও পেনশন আইন (Maintenance and Alimony Law)

প্রশ্ন ১: হিন্দু অনুসূচী আইন কী?
এটি এমন আইন যা বিবাহিত স্ত্রীর বা বিধবা নারীর খাদ্য, বাসস্থান এবং আর্থিক সাহায্য নিশ্চিত করে।
প্রশ্ন ২: Maintenance অর্থ কী?
বিবাহিত বা বিধবা স্ত্রী বা সন্তানের খাদ্য, বাসস্থান ও অর্থ সাহায্য।
প্রশ্ন ৩: Alimony কী?
বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্বামীর দ্বারা স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত অর্থ সহায়তা।
প্রশ্ন ৪: Maintenance পাওয়ার যোগ্যতা কারা রাখে?
বিবাহিত স্ত্রী, বিধবা স্ত্রী, এবং অক্ষম সন্তানরা।
প্রশ্ন ৫: Maintenance কতদিন পাওয়া যায়?
জীবনকাল বা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত, আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী।
প্রশ্ন ৬: Maintenance এর পরিমাণ নির্ধারণ কীভাবে হয়?
স্বামীর আয়, স্ত্রীর প্রয়োজন এবং অন্যান্য পরিস্থিতি দেখে।
প্রশ্ন ৭: Maintenance দাবি করতে কোন আদালতে যেতে হয়?
সিভিল আদালত বা পারিবারিক আদালতে।
প্রশ্ন ৮: Maintenance দেওয়া না হলে কী করা যায়?
আইনি পদক্ষেপ নিয়ে আদেশ কার্যকর করানো যায়।
প্রশ্ন ৯: Maintenance পাওয়ার জন্য কোন প্রমাণ দরকার?
বিবাহের প্রমাণ, স্বামীর আয়ের তথ্য এবং আর্থিক প্রয়োজনীয়তা।
প্রশ্ন ১০: Maintenance পাওয়া কি শুধুমাত্র স্ত্রীর জন্য?
না, সন্তানদের জন্যও পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ১১: Alimony আর Maintenance এর মধ্যে পার্থক্য কী?
Maintenance চলতি সহায়তা, Alimony বিবাহ বিচ্ছেদের পর এককালীন বা নিয়মিত অর্থ সহায়তা।
প্রশ্ন ১২: Maintenance পাওয়ার জন্য বয়সের কোনো শর্ত আছে?
সাধারণত না, তবে অক্ষম বা নির্ভরশীলদের জন্য।
প্রশ্ন ১৩: Maintenance দাবির জন্য সময়সীমা আছে?
সাধারণত না, তবে আদালতের নিয়ম অনুসারে।
প্রশ্ন ১৪: Maintenance থেকে বঞ্চিত করা যাবে?
যদি স্বামী প্রমাণ করতে পারে স্ত্রীর নিজের আয় যথেষ্ট।
প্রশ্ন ১৫: Maintenance পাওয়ার জন্য কি বৈবাহিক বিচ্ছেদ প্রয়োজন?
না, বিবাহিত অবস্থায়ও পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ১৬: Maintenance এর অর্থ দিতে কাদের দায়িত্ব?
স্বামী বা পিতা বা অন্যান্য বিধি অনুযায়ী।
প্রশ্ন ১৭: Maintenance আদায়ে বাধা দিলে কী হয়?
আদালত জরিমানা বা কারাদণ্ড দিতে পারে।
প্রশ্ন ১৮: Maintenance চাওয়ার জন্য আইন কি সুরক্ষা দেয়?
হ্যাঁ, বিভিন্ন আইন ও আদালত এর সুরক্ষা দেয়।
প্রশ্ন ১৯: Maintenance পাওয়া থেকে কি স্বামী বাঁচতে পারে?
কোনো বৈধ কারণ ছাড়া নয়।
প্রশ্ন ২০: Maintenance আদায়ের জন্য কি মামলা করতে হয়?
হ্যাঁ, সাধারণত আদালতে আবেদন করতে হয়।
প্রশ্ন ২১: Alimony কি এককালীন অর্থ হতে পারে?
হ্যাঁ, আদালতের আদেশ অনুযায়ী।
প্রশ্ন ২২: Maintenance আদায়ে কি আইন প্রয়োগ হয়?
হিন্দু বিধি আদালত আইন এবং সংশ্লিষ্ট বিধি।
প্রশ্ন ২৩: Maintenance দাবির জন্য কি নারীকে নির্ভরশীল হতে হবে?
হ্যাঁ, অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল হলে।
প্রশ্ন ২৪: Maintenance আদায় কতদিন পর্যন্ত চলে?
আদালতের আদেশ পর্যন্ত।
প্রশ্ন ২৫: Maintenance আদায়ের ক্ষেত্রে কি সময়সীমা আছে?
বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন।
প্রশ্ন ২৬: Maintenance আদায়ের জন্য কি কাগজপত্র লাগে?
বিবাহের দলিল, আয়ের তথ্য, জীবনযাত্রার প্রমাণ ইত্যাদি।
প্রশ্ন ২৭: Maintenance আদায়ে আদালত কী বিবেচনা করে?
আয়ের পরিমাণ, খরচ, জীবনের মান ইত্যাদি।
প্রশ্ন ২৮: Maintenance কিভাবে পরিবর্তন করা যায়?
আদালতে আবেদন করে।
প্রশ্ন ২৯: Maintenance আদায় বন্ধ হলে কি হয়?
আদালতের আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
প্রশ্ন ৩০: Maintenance আইন কতটুকু কার্যকর?
সঠিক প্রয়োগে যথেষ্ট কার্যকর।

অধ্যায় ৯: হিন্দু বিধবা অধিকার আইন (Rights of Widows)

প্রশ্ন ১: হিন্দু বিধবা অধিকার আইন কী?
এই আইন বিধবাদের সামাজিক, আর্থিক ও ব্যক্তিগত অধিকার সুরক্ষিত করে।
প্রশ্ন ২: বিধবা বলতে কারা বোঝানো হয়?
যে নারী স্বামীর মৃত্যু বা বিবাহবিচ্ছেদের পর অবিবাহিত থাকে।
প্রশ্ন ৩: বিধবার বৈবাহিক অধিকার কী?
বিধবার বৈবাহিক সম্পত্তিতে অংশ গ্রহণের অধিকার।
প্রশ্ন ৪: বিধবার উত্তরাধিকার পাওয়ার অধিকার আছে?
হ্যাঁ, বিধবা স্বামীর সম্পত্তিতে নির্দিষ্ট অংশের অধিকারী।
প্রশ্ন ৫: বিধবা কি স্বামী থেকে আলাদা হওয়া স্ত্রী হতে পারে?
না, আলাদা হওয়া স্ত্রীকে বিধবা বলে না।
প্রশ্ন ৬: বিধবার পুনর্বিবাহের আইনগত দৃষ্টিভঙ্গি কী?
পুনর্বিবাহের অধিকার রয়েছে, তবে কিছু শর্তে।
প্রশ্ন ৭: বিধবার maintenance পাওয়ার অধিকার আছে?
হ্যাঁ, স্বামীর পরিবারের কাছ থেকে maintenance পাওয়ার অধিকার থাকে।
প্রশ্ন ৮: বিধবার কি পেনশন পাওয়ার অধিকার আছে?
কিছু ক্ষেত্রে বিধবা পেনশন পাওয়ার যোগ্য।
প্রশ্ন ৯: বিধবা কি স্বামীর সম্পত্তিতে জমি পেতে পারে?
আইনের বিধান অনুসারে নির্দিষ্ট অংশ পেতে পারে।
প্রশ্ন ১০: বিধবার কী সামাজিক নিরাপত্তা আইন আছে?
হ্যাঁ, বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা বিধান প্রযোজ্য।
প্রশ্ন ১১: বিধবার অধিকার কি শুধুমাত্র স্বামীর মৃত্যুর পরই শুরু হয়?
সাধারণত, হ্যাঁ।
প্রশ্ন ১২: বিধবার কি কোর্টে মামলা করার অধিকার আছে?
হ্যাঁ, নিজের অধিকার রক্ষার্থে মামলা করতে পারে।
প্রশ্ন ১৩: বিধবার সম্পত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে কি বাধা আছে?
কিছু সামাজিক ও আইনি প্রতিবন্ধকতা থাকতে পারে।
প্রশ্ন ১৪: বিধবার উত্তরাধিকার পাওয়ার ক্ষেত্রে পারিবারিক আইন কী ভূমিকা রাখে?
এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্ন ১৫: বিধবা কি স্বামীর সম্পত্তি বিক্রি করতে পারে?
আইনের সীমার মধ্যে নির্ভর করে।
প্রশ্ন ১৬: বিধবার সামাজিক অবস্থার উন্নতির জন্য কী আইন আছে?
হ্যাঁ, বিভিন্ন সুরক্ষা ও উন্নয়নমূলক আইন আছে।
প্রশ্ন ১৭: বিধবার নিরাপত্তার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান আছে?
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকে।
প্রশ্ন ১৮: বিধবার পুনর্বিবাহ করলে কি তার অধিকার নষ্ট হয়?
পুনর্বিবাহ করলে পূর্ববর্তী বিধবার অধিকার শেষ হয়ে যেতে পারে।
প্রশ্ন ১৯: বিধবার চিকিৎসা সুবিধা কি পাওয়া যায়?
সরকারি ও বেসরকারি সুযোগ থেকে সুবিধা পেতে পারে।
প্রশ্ন ২০: বিধবার সন্তানের ওপর কোন অধিকার আছে?
সন্তানের পালনপোষণের অধিকার থাকে।
প্রশ্ন ২১: বিধবার সম্পত্তি ভাগাভাগির ক্ষেত্রে কি বিরোধ হয়?
সাধারণত হয়, আদালতের মাধ্যমে সমাধান হয়।
প্রশ্ন ২২: বিধবার কোন ধরনের ঋণ নেওয়ার অধিকার আছে?
আইনের সীমার মধ্যে ঋণ গ্রহণ করতে পারে।
প্রশ্ন ২৩: বিধবার অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কেমন?
আইনের সাহায্যে বাড়ানো যায়।
প্রশ্ন ২৪: বিধবার সম্পত্তি অধিকার রক্ষার জন্য কি আইন আছে?
হ্যাঁ, বিভিন্ন আইন দ্বারা সুরক্ষিত।
প্রশ্ন ২৫: বিধবার শিক্ষার অধিকার আছে?
হ্যাঁ, শিক্ষার অধিকার রয়েছে।
প্রশ্ন ২৬: বিধবার করণীয় কি নিজের অধিকার রক্ষায়?
আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
প্রশ্ন ২৭: বিধবা কি কর্মসংস্থানে যেতে পারে?
হ্যাঁ, চাকুরি বা ব্যবসা করতে পারে।
প্রশ্ন ২৮: বিধবার আর্থিক সুরক্ষার জন্য কি প্রোগ্রাম আছে?
সরকারি বিভিন্ন প্রোগ্রাম আছে।
প্রশ্ন ২৯: বিধবার স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কি ব্যবস্থা আছে?
সরকারি স্বাস্থ্য সেবা সুবিধা পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ৩০: বিধবা কি নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সাহায্য চাইতে পারে?
হ্যাঁ, বিভিন্ন এনজিও ও সরকারি সংস্থার সাহায্য নিতে পারে।

অধ্যায় ১০: হিন্দু অভিভাবকত্ব আইন (Guardianship Law)

প্রশ্ন ১: অভিভাবকত্ব আইন কী?
অভিভাবকত্ব আইন হলো এমন আইন যা অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং অক্ষম ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে তাদের স্বার্থ রক্ষায় নিয়ম করে।
প্রশ্ন ২: হিন্দু আইনে অভিভাবক কারা হতে পারে?
স্বামী, স্ত্রী, পিতা, মাতা, পিতামাতা অথবা আদালত দ্বারা মনোনীত ব্যক্তি অভিভাবক হতে পারে।
প্রশ্ন ৩: অভিভাবকত্ব কবে শুরু হয়?
অপ্রাপ্তবয়স্কের ক্ষেত্রে শুরু হয়, যখন সে নিজের স্বার্থ নিজে রক্ষা করতে অক্ষম।
প্রশ্ন ৪: অভিভাবকত্বের ধরণ কী কী?
প্রাকৃতিক অভিভাবকত্ব এবং নিয়মিত অভিভাবকত্ব।
প্রশ্ন ৫: প্রাকৃতিক অভিভাবক কারা?
বাচ্চার বাবা-মা প্রাকৃতিক অভিভাবক।
প্রশ্ন ৬: নিয়মিত অভিভাবক কীভাবে নিয়োগ করা হয়?
আদালত কর্তৃক বিধিবদ্ধ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ করা হয়।
প্রশ্ন ৭: অভিভাবকত্বের অধীনে কি সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণ থাকে?
হ্যাঁ, অভিভাবক সন্তানের সম্পত্তি ও স্বার্থ রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন।
প্রশ্ন ৮: অভিভাবকত্বের সময়সীমা কত?
সন্তান পূর্ণবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত।
প্রশ্ন ৯: অভিভাবকত্ব বাতিল বা পরিবর্তন করা যায়?
হ্যাঁ, আদালতের মাধ্যমে করা যায়।
প্রশ্ন ১০: অভিভাবকত্বের জন্য কী যোগ্যতা প্রয়োজন?
সদাচরণ, সক্ষমতা এবং সন্তানের স্বার্থে কাজ করার ইচ্ছা।
প্রশ্ন ১১: অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে সন্তানের স্বার্থ কীভাবে রক্ষা হয়?
অভিভাবক সন্তানের অর্থ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন।
প্রশ্ন ১২: হিন্দু আইন কি নারীকে অভিভাবকত্বের অধিকার দেয়?
হ্যাঁ, স্ত্রী এবং মা অভিভাবক হতে পারেন।
প্রশ্ন ১৩: অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে আদালতের ভূমিকা কী?
অভিভাবক নিয়োগ, অধিকার সুরক্ষা ও বিরোধ নিষ্পত্তি করে।
প্রশ্ন ১৪: অভিভাবকত্বের অধিকার কি স্বেচ্ছায় ছাড়া যায়?
না, শুধুমাত্র আদালতের অনুমতিতে।
প্রশ্ন ১৫: অভিভাবকত্বে থাকা সন্তানের সম্পত্তি কিভাবে ব্যবস্থাপনা হয়?
অভিভাবক সন্তানের জন্য সম্পত্তি সংরক্ষণ ও পরিচালনা করেন।
প্রশ্ন ১৬: অভিভাবকত্বের সময় কি সন্তানের শারীরিক ও মানসিক যত্ন নেওয়া বাধ্যতামূলক?
হ্যাঁ, অভিভাবকত্বের মূল দায়িত্ব।
প্রশ্ন ১৭: অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে কি সন্তানের মতামত নেওয়া হয়?
বয়স ও যোগ্যতার উপর নির্ভর করে।
প্রশ্ন ১৮: অভিভাবকত্ব কবে শেষ হয়?
সন্তান পূর্ণবয়স্ক হলে বা আদালত কর্তৃক বাতিল হলে।
প্রশ্ন ১৯: অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে কি আর্থিক হিসাব দাখিল করতে হয়?
হ্যাঁ, আদালতকে নিয়মিত হিসাব দিতে হয়।
প্রশ্ন ২০: অভিভাবকত্বে থাকা সন্তান কি নিজের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারে?
না, পূর্ণবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত পারে না।
প্রশ্ন ২১: অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রীর ভূমিকা কী?
দুজনেই অভিভাবক হতে পারেন এবং সন্তানের যত্ন নিতে পারেন।
প্রশ্ন ২২: অভিভাবকত্বে থাকা সন্তানের শিক্ষার দায়িত্ব কার?
অভিভাবকের দায়িত্ব।
প্রশ্ন ২৩: অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে বিরোধ হলে কোথায় মামলা করতে হয়?
স্থানীয় আদালতে।
প্রশ্ন ২৪: অভিভাবকত্ব কাদের বিরুদ্ধে কার্যকর হয়?
অপ্রাপ্তবয়স্ক বা অক্ষম ব্যক্তির জন্য।
প্রশ্ন ২৫: অভিভাবকত্বে থাকা সন্তানের স্বাস্থ্যসেবা কিভাবে নিশ্চিত হয়?
অভিভাবকের মাধ্যমে।
প্রশ্ন ২৬: অভিভাবকত্বের অধিকার কি কেবল বাবার জন্য?
না, মাতা ও অন্যান্য প্রতিপালকদের জন্যও।
প্রশ্ন ২৭: অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে কোন আইন প্রযোজ্য?
হিন্দু অভিভাবকত্ব আইন এবং সাধারণ ফ্যামিলি আইন।
প্রশ্ন ২৮: অভিভাবকত্বের অধিকার হারানো যেতে পারে?
হ্যাঁ, আদালত অযোগ্য ঘোষণা করলে।
প্রশ্ন ২৯: অভিভাবকত্বের অধীনে থাকা সন্তানের সম্পত্তি সংরক্ষণ কীভাবে হয়?
অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে।
প্রশ্ন ৩০: অভিভাবকত্বের জন্য আদালতে আবেদন কিভাবে করা হয়?
স্থানীয় আদালতে লিখিত আবেদন করে।

অধ্যায় ১১: হিন্দু কর্তৃত্ব ও অপহরণ আইন (Adoption and Guardianship Law)

প্রশ্ন ১: হিন্দু কর্তৃত্ব আইন কী?
হিন্দু কর্তৃত্ব আইন হলো এমন আইন যা শিশু গ্রহণ ও তাদের অভিভাবকত্ব নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রশ্ন ২: হিন্দু আইন অনুসারে দত্তক গ্রহণের অর্থ কী?
দত্তক গ্রহণ অর্থ হলো নিজের সন্তান না হলেও অন্য কাউকে আইনগতভাবে সন্তান হিসেবে গ্রহণ করা।
প্রশ্ন ৩: দত্তক গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত কী কী?
দত্তকগ্রহণকারী এবং দত্তকগ্রহণকারী উভয়ই হিন্দু হওয়া, দত্তকগ্রহণকারী ২১ বছর বয়সী হওয়া, এবং আদতে সন্তানের অভাব থাকা।
প্রশ্ন ৪: দত্তক গ্রহণের কি কোনো সরকারি অনুমতি লাগে?
হ্যাঁ, আধুনিক আইন অনুযায়ী দত্তক গ্রহণের জন্য আদালতের অনুমতি প্রয়োজন।
প্রশ্ন ৫: দত্তকপ্রাপ্ত শিশুর অধিকার কী কী?
দত্তকপ্রাপ্ত শিশু সম্পূর্ণ সন্তান হিসাবে অধিকার পায়, যেমন উত্তরাধিকার, সম্পত্তি ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৬: দত্তক গ্রহণে কোন শিশু গ্রহণ করা যায় না?
যারা ইতিমধ্যে কারো দত্তক গ্রহণ করেছে বা যারা আইনত দত্তক গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রশ্ন ৭: দত্তক গ্রহণকারী পুরুষের বয়স কত হওয়া উচিত?
কমপক্ষে ২১ বছর বয়সী হতে হবে।
প্রশ্ন ৮: দত্তক গ্রহণের পরে কি দত্তকপ্রাপ্ত সন্তানের পূর্ব পরিবার থেকে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়?
হ্যাঁ, দত্তকপ্রাপ্ত সন্তান পূর্ব পরিবারের সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়।
প্রশ্ন ৯: দত্তক গ্রহণের ক্ষেত্রে কিভাবে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়?
দত্তক গ্রহণের মাধ্যমে দত্তকগ্রহণকারী কর্তৃত্ব প্রাপ্ত হয়।
প্রশ্ন ১০: দত্তক গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন বয়সসীমা রয়েছে?
সাধারণত ১৫ বছর পর্যন্ত শিশু দত্তক গ্রহণযোগ্য।
প্রশ্ন ১১: দত্তক গ্রহণের সময় কি সন্তানের সম্মতি প্রয়োজন?
যদি শিশু ১৫ বছরের বেশি হয় তবে সম্মতি আবশ্যক।
প্রশ্ন ১২: দত্তক গ্রহণের পরে কি শিশুর নাম পরিবর্তন করা যায়?
হ্যাঁ, দত্তকগ্রহণকারী নতুন নাম দিতে পারেন।
প্রশ্ন ১৩: দত্তক গ্রহণের জন্য কোন নথি প্রস্তুত করতে হয়?
দত্তক গ্রহণ পত্র এবং আদালতের অনুমতি দরকার।
প্রশ্ন ১৪: দত্তক গ্রহণ কি ধর্ম পরিবর্তনের কারণ হতে পারে?
না, দত্তক গ্রহণ ধর্ম পরিবর্তনের জন্য বাধ্যতামূলক নয়।
প্রশ্ন ১৫: দত্তক গ্রহণের অধিকার কারা পায় না?
অবৈধ সন্তান বা অপরাধী ব্যক্তিরা পায় না।
প্রশ্ন ১৬: কর্তৃত্বের অর্থ কী?
কর্তৃত্ব হলো শিশুদের তত্ত্বাবধান এবং তাদের স্বার্থ রক্ষার ক্ষমতা।
প্রশ্ন ১৭: কর্তৃত্ব কাদের দেওয়া হয়?
প্রকৃতিক অভিভাবক, নিয়মিত অভিভাবক বা আদালতের মনোনীত ব্যক্তি।
প্রশ্ন ১৮: কর্তৃত্ব গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন কিভাবে করতে হয়?
লিখিত আবেদন দাখিল করে।
প্রশ্ন ১৯: অপহরণ আইন কী?
অপহরণ আইন শিশু বা নারীদের অবৈধভাবে স্থানান্তর বা নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রশ্ন ২০: শিশু অপহরণের ক্ষেত্রে আইনের শাস্তি কী?
জেল অথবা জরিমানা হতে পারে।
প্রশ্ন ২১: অপহরণ থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য আইন কী ব্যবস্থা নেয়?
শিশুর নিরাপত্তার জন্য কঠোর শাস্তি ও পুনরুদ্ধার ব্যবস্থা।
প্রশ্ন ২২: শিশু দত্তক গ্রহণের ক্ষেত্রে কি কোনও বাধা থাকতে পারে?
যদি দত্তকগ্রহণকারী বা শিশু আইনগত যোগ্য না হয়।
প্রশ্ন ২৩: দত্তক গ্রহণের ক্ষেত্রে কি মা-বাবার সম্মতি দরকার?
যদি মা-বাবা জীবিত থাকে তবে তাদের সম্মতি প্রয়োজন।
প্রশ্ন ২৪: দত্তক গ্রহণের পরে শিশুর সম্পত্তির মালিকানা কেমন হয়?
শিশু দত্তকগ্রহণকারীর সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়।
প্রশ্ন ২৫: দত্তক গ্রহণের ক্ষেত্রে কি শিশুর ধর্ম পরিবর্তন হয়?
না, বাধ্যতামূলক নয়।
প্রশ্ন ২৬: দত্তক গ্রহণের প্রক্রিয়ায় কোন সরকারী অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়?
স্থানীয় আদালত ও সিভিল অফিসারের সঙ্গে।
প্রশ্ন ২৭: দত্তক গ্রহণের পরে শিশুর পরিচয়পত্র পরিবর্তন করা যায়?
হ্যাঁ, নতুন পরিচয়পত্র দেয়া হয়।
প্রশ্ন ২৮: দত্তক গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন ধরনের আদালত অধিকৃত?
পারিবারিক বা সুপ্রিম কোর্ট।
প্রশ্ন ২৯: অপহরণ হলে করণীয় কী?
স্থানীয় পুলিশ ও আদালতে অভিযোগ করতে হয়।
প্রশ্ন ৩০: হিন্দু কর্তৃত্ব ও অপহরণ আইন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
কারণ এটি শিশুদের সুরক্ষা ও স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে।

অধ্যায় ১২: হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মঠ মন্দির আইন (Law related to Religious Institutions)

প্রশ্ন ১: হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বলতে কী বোঝায়?
হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হলো মন্দির, আশ্রম, মঠ বা অন্যান্য ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালিত স্থান।
প্রশ্ন ২: মন্দির পরিচালনার জন্য আইন কী বলে?
মন্দির পরিচালনা সাধারণত স্থানীয় ধর্মীয় বোর্ড বা ট্রাস্ট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, এবং সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
প্রশ্ন ৩: হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য কোন ধরনের কমিটি গঠন করা হয়?
ধর্মীয় বোর্ড বা ট্রাস্ট কমিটি গঠন করা হয়।
প্রশ্ন ৪: মঠ ও আশ্রম পরিচালনায় কি সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকে?
হ্যাঁ, সরকার নির্দিষ্ট আইন ও বিধি অনুযায়ী তদারকি করে।
প্রশ্ন ৫: মন্দির সম্পত্তি কে পরিচালনা করে?
সাধারণত ধর্মীয় ট্রাস্ট বা বোর্ড।
প্রশ্ন ৬: ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক হিসাবরক্ষণ বাধ্যতামূলক কী?
হ্যাঁ, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বাধ্যতামূলক।
প্রশ্ন ৭: মন্দিরের পূজারি নিয়োগের নিয়ম কী?
স্থানীয় ধর্মীয় বোর্ড বা কমিটির নিয়ম অনুযায়ী।
প্রশ্ন ৮: মঠের সম্পত্তি বিক্রি বা পরিবর্তন করা যায় কি?
সাধারণত আইন অনুসারে তা কঠোর নিয়ন্ত্রণাধীন।
প্রশ্ন ৯: মন্দিরের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনার নিয়ম কী?
স্থানীয় ধর্মীয় কমিটির অনুমতি নিয়ে।
প্রশ্ন ১০: মঠ মন্দিরের জন্য সরকারী সাহায্য পাওয়া যায় কি?
কিছু ক্ষেত্রে সরকারী অনুদান বা সাহায্য পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ১১: ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের আইন প্রযোজ্য হয়?
ধর্মীয় আইন ছাড়াও সাধারণ আইন এবং ট্রাস্ট আইন প্রযোজ্য হয়।
প্রশ্ন ১২: মন্দিরের আর্থিক লেনদেন কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়?
ধর্মীয় বোর্ড বা ট্রাস্ট কর্তৃক নিরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ।
প্রশ্ন ১৩: মঠ মন্দিরের স্থাপনা সংরক্ষণে আইন কী বলে?
ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব থাকলে সংরক্ষণ আইন প্রযোজ্য হয়।
প্রশ্ন ১৪: ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনায় কি স্বেচ্ছাসেবকরা অংশ নেয়?
হ্যাঁ, অনেক মন্দিরে স্বেচ্ছাসেবকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্ন ১৫: মন্দিরের সম্পত্তি থেকে লাভ কিভাবে ব্যবহার হয়?
ধর্মীয় কার্যক্রম ও সমাজসেবায় ব্যয় হয়।
প্রশ্ন ১৬: মঠের পরিচালনায় ধর্মীয় নিয়মের গুরুত্ব কতটুকু?
ধর্মীয় নিয়ম মঠ পরিচালনার মূল ভিত্তি।
প্রশ্ন ১৭: মন্দিরে দান-দক্ষিণার ব্যবস্থাপনা কেমন হয়?
সতর্ক ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে করা হয়।
প্রশ্ন ১৮: ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি কি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যায়?
সাধারণত নিষিদ্ধ।
প্রশ্ন ১৯: মঠ বা মন্দিরের যাজক নিয়োগে কি ধর্মীয় যোগ্যতা দরকার?
হ্যাঁ, ধর্মীয় শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত হওয়া আবশ্যক।
প্রশ্ন ২০: ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিবাদ হলে কীভাবে সমাধান হয়?
আদালত বা মধ্যস্থতা কমিটির মাধ্যমে।
প্রশ্ন ২১: ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি কার মালিকানাধীন?
সাধারণত ট্রাস্ট বা ধর্মীয় কমিটির।
প্রশ্ন ২২: মন্দিরের বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয় কি?
হ্যাঁ, নির্ধারিত আয়কর আইন অনুসারে।
প্রশ্ন ২৩: ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী নিয়োগের নিয়ম কী?
ট্রাস্ট বা কমিটির নীতিমালা অনুযায়ী।
প্রশ্ন ২৪: মঠ মন্দিরের বিল্ডিং কতৃপক্ষের অনুমতি দরকার কি?
হ্যাঁ, নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য অনুমতি প্রয়োজন।
প্রশ্ন ২৫: ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান-দানীয়ার হিসাব রাখা জরুরি কেন?
স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাস প্রতিষ্ঠার জন্য।
প্রশ্ন ২৬: মন্দিরের কর্মসূচি পরিবর্তনের নিয়ম কী?
ধর্মীয় বোর্ডের সম্মতি নিয়ে।
প্রশ্ন ২৭: ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অশুভ কাজ করার ক্ষেত্রে আইন কী বলে?
সর্বোচ্চ শাস্তি এবং কার্যক্রম স্থগিত করা যেতে পারে।
প্রশ্ন ২৮: মন্দিরে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কার?
ধর্মীয় কমিটি বা ট্রাস্টের।
প্রশ্ন ২৯: মঠের আয় থেকে কর দিতে হয় কি?
কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ছাড় থাকলেও সাধারণত কর দিতে হয়।
প্রশ্ন ৩০: হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মঠ মন্দির আইন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
কারণ এটি ধর্মীয় স্থাপনা ও ঐতিহ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

অধ্যায় ১৩: হিন্দু পারিবারিক আইন (Family Law)

প্রশ্ন ১: হিন্দু পারিবারিক আইন কী?
হিন্দু পারিবারিক আইন হিন্দুদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রযোজ্য বিভিন্ন সামাজিক সম্পর্ক, যেমন বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার, অভিভাবকত্ব ও দানসম্পর্কিত আইনগুলোর সমষ্টি।
প্রশ্ন ২: হিন্দু পারিবারিক আইন কোন কোন বিষয়ের উপর প্রযোজ্য?
বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, দত্তক, উত্তরাধিকার, সম্পত্তি, অভিভাবকত্ব, খোরপোষ ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৩: হিন্দু বিবাহ আইন কোন আইনের আওতাভুক্ত?
হিন্দু বিবাহ আইন, ১৯৫৫ সালের আওতাভুক্ত।
প্রশ্ন ৪: হিন্দু আইনে বৈধ বিবাহের শর্ত কী কী?
উভয়ের সম্মতি, বৈবাহিক বয়স পূর্ণ হওয়া, নিকট আত্মীয় না হওয়া এবং আগের বৈবাহিক সম্পর্ক শেষ হওয়া।
প্রশ্ন ৫: হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী বিবাহের বয়স কত?
পুরুষের জন্য ২১ বছর ও নারীর জন্য ১৮ বছর।
প্রশ্ন ৬: হিন্দু আইনে তালাক প্রক্রিয়া কীভাবে হয়?
নির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া ও আদালতের মাধ্যমে তালাক গ্রহণ করতে হয়।
প্রশ্ন ৭: স্ত্রী তালাক চাইলে কী করতে হয়?
তাকে আদালতে নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে তালাকের জন্য আবেদন করতে হয়।
প্রশ্ন ৮: স্বামী তালাক দিতে চাইলে কীভাবে দিবে?
আদালতে মামলা করে বৈধ কারণ দেখাতে হবে।
প্রশ্ন ৯: হিন্দু আইনে দত্তক গ্রহণের নিয়ম কী?
Hindu Adoption and Maintenance Act, 1956 অনুযায়ী নির্দিষ্ট শর্তে দত্তক গ্রহণ করা যায়।
প্রশ্ন ১০: দত্তক গ্রহণের প্রধান শর্ত কী?
দাতা ও গ্রহণকারীর মধ্যে নির্দিষ্ট সম্পর্ক ও বয়সের শর্ত পূরণ করতে হবে।
প্রশ্ন ১১: হিন্দু আইনে খোরপোষ দাবি করা যায় কি?
হ্যাঁ, স্ত্রী, সন্তান ও নির্ভরশীলরা খোরপোষ দাবি করতে পারে।
প্রশ্ন ১২: সন্তানদের অভিভাবকত্ব কার হাতে থাকে?
সাধারণভাবে পিতার, তবে আদালত মায়ের পক্ষেও রায় দিতে পারে।
প্রশ্ন ১৩: হিন্দু মহিলারা উত্তরাধিকার পায় কী?
হ্যাঁ, Hindu Succession (Amendment) Act, 2005 অনুযায়ী সমান অধিকার রয়েছে।
প্রশ্ন ১৪: বিবাহবিচ্ছেদের পর সম্পত্তির অধিকার কেমন হয়?
স্ত্রী খোরপোষ এবং পৃথক সম্পত্তিতে অধিকার পেতে পারে।
প্রশ্ন ১৫: পিতার মৃত্যুর পর সন্তানেরা কীভাবে সম্পত্তি ভাগ পায়?
Hindu Succession Act অনুযায়ী উত্তরাধিকার সূত্রে ভাগ পায়।
প্রশ্ন ১৬: পিতামাতার খোরপোষ কে বহন করবে?
সন্তানদের মধ্যে যিনি উপার্জনক্ষম, তিনি।
প্রশ্ন ১৭: হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রি বাধ্যতামূলক কি?
না, কিন্তু ভবিষ্যৎ আইনি সুবিধার জন্য তা করা ভালো।
প্রশ্ন ১৮: হিন্দু বিবাহে কন্যাদান কী?
এটি হলো কন্যাকে ধর্মীয় রীতিতে বরপক্ষে প্রদান করা।
প্রশ্ন ১৯: স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার পাবে কি?
হ্যাঁ, স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার পায়।
প্রশ্ন ২০: কন্যার সম্পত্তিতে ভাইয়ের অধিকার কী?
কন্যা যদি নিঃসন্তান মারা যায়, তবে ভাই উত্তরাধিকার হতে পারে।
প্রশ্ন ২১: হিন্দু আইনে বিবাহের বৈধতা প্রমাণের মাধ্যম কী?
বিবাহ নিবন্ধন সনদ, ছবি ও সাক্ষীর বিবৃতি।
প্রশ্ন ২২: সৎ সন্তান কি উত্তরাধিকার পায়?
না, সৎ সন্তান আইনত উত্তরাধিকার পায় না।
প্রশ্ন ২৩: হিন্দু পারিবারিক আইনে যৌতুক কীভাবে দেখা হয়?
এটি অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
প্রশ্ন ২৪: হিন্দু আইন অনুযায়ী দ্বিতীয় বিবাহ কি বৈধ?
না, প্রথম বিবাহ বিচ্ছিন্ন না হলে দ্বিতীয় বিবাহ অবৈধ।
প্রশ্ন ২৫: সন্তানের খরচ কে বহন করবে?
সাধারণত পিতা, কিন্তু বিশেষ ক্ষেত্রে মা।
প্রশ্ন ২৬: সন্তান যদি দত্তক হয়, তার উত্তরাধিকার অধিকার থাকে?
হ্যাঁ, বৈধ দত্তক সন্তান উত্তরাধিকার পায়।
প্রশ্ন ২৭: হিন্দু পরিবারে যৌথ সম্পত্তি কী?
যা পরিবারের সকল সদস্যের সম্মিলিত মালিকানাধীন।
প্রশ্ন ২৮: স্ত্রী যদি নির্যাতনের শিকার হয়, কী করতে পারে?
নারী নির্যাতন আইনের আওতায় মামলা করতে পারে।
প্রশ্ন ২৯: পিতার জীবদ্দশায় সন্তানরা সম্পত্তি দাবি করতে পারে?
না, যতক্ষণ না পিতা দান করেন বা মৃত্যুবরণ করেন।
প্রশ্ন ৩০: হিন্দু পারিবারিক আইন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এটি পারিবারিক সম্পর্ক সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে।

অধ্যায় ১৪: হিন্দু ঐতিহ্য ও প্রথাগত আইন (Customary and Traditional Laws)

প্রশ্ন ১: হিন্দু ঐতিহ্য ও প্রথাগত আইন বলতে কী বোঝায়?
হিন্দু সমাজে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা প্রথা ও রীতিনীতি যা আইনসঙ্গতভাবে স্বীকৃত, তাই হিন্দু প্রথাগত আইন।
প্রশ্ন ২: কোনটি একটি বৈধ প্রথাগত আইন?
যেটি নৈতিক, যুক্তিসঙ্গত এবং আইনের পরিপন্থী নয়, তা বৈধ প্রথাগত আইন।
প্রশ্ন ৩: প্রথাগত আইন কীভাবে গঠিত হয়?
দীর্ঘদিন ধরে একটি নির্দিষ্ট প্রথা পালন করলে এবং সমাজ তা মেনে নিলে তা প্রথাগত আইন হয়ে যায়।
প্রশ্ন ৪: প্রথাগত আইন আদালতে গ্রহণযোগ্য কি?
হ্যাঁ, যদি তা যুক্তিসঙ্গত ও প্রমাণযোগ্য হয়।
প্রশ্ন ৫: হিন্দু বিবাহে কোন ঐতিহ্যবাহী নিয়ম রয়েছে?
সপ্তপদী, কন্যাদান, মঙ্গলসূত্র ধারণ, ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৬: ‘সপ্তপদী’ কী?
হিন্দু বিবাহের সময় দম্পতিরা আগুনের চারপাশে সাতবার ঘোরার প্রথা।
প্রশ্ন ৭: কি অবস্থায় প্রথা অকার্যকর হয়?
যদি প্রথাটি অমানবিক, অবৈধ বা সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী হয়।
প্রশ্ন ৮: ‘মিত্রাক্ষরা’ ও ‘দায়ভাগ’ প্রথা কী?
এগুলো হিন্দু উত্তরাধিকার ও যৌথ পরিবার প্রথার দুইটি প্রাচীন রূপ।
প্রশ্ন ৯: হিন্দু আইনে “ধর্মশাস্ত্র”র প্রভাব কেমন?
প্রাচীন হিন্দু ধর্মশাস্ত্র যেমন মনুস্মৃতি হিন্দু ব্যক্তিগত আইনের ভিত্তি।
প্রশ্ন ১০: ‘স্মৃতি’ কী?
স্মৃতি হলো সেই সমস্ত শাস্ত্র যা হিন্দুদের আচরণবিধি নির্ধারণ করে।
প্রশ্ন ১১: ‘শ্রুতি’ ও ‘স্মৃতি’ কীভাবে আলাদা?
‘শ্রুতি’ হলো শাস্ত্র যা শোনা হয় (যেমন বেদ), আর ‘স্মৃতি’ হলো স্মরণযোগ্য বিধি (যেমন মনুস্মৃতি)।
প্রশ্ন ১২: হিন্দুদের মধ্যে যৌতুক প্রথার উৎস কী?
প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী কন্যাকে বিবাহের সময় সম্পদ প্রদান করা হতো, যা পরে অনৈতিক রূপ নেয়।
প্রশ্ন ১৩: হিন্দু আইন কোন ঐতিহ্যকে অগ্রাধিকার দেয়?
যে ঐতিহ্য সমাজে গৃহীত এবং আইনসঙ্গত।
প্রশ্ন ১৪: ‘ধর্ম’ শব্দের আইনি তাৎপর্য কী?
নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব বোঝাতে ‘ধর্ম’ ব্যবহৃত হয়, ধর্মীয় আচার নয়।
প্রশ্ন ১৫: হিন্দু আইন আধুনিকীকরণের পেছনে কী উদ্দেশ্য?
সমতা, মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়ের নিশ্চয়তা।
প্রশ্ন ১৬: হিন্দু নারী কি ঐতিহ্য অনুযায়ী সম্পত্তির উত্তরাধিকার পেত?
প্রথাগতভাবে না, কিন্তু আধুনিক আইনে সমান অধিকার রয়েছে।
প্রশ্ন ১৭: ধর্মীয় রীতিনীতির বিরুদ্ধে আদালত কি রায় দিতে পারে?
হ্যাঁ, যদি তা সংবিধান ও মানবাধিকারের পরিপন্থী হয়।
প্রশ্ন ১৮: পৈতৃক সম্পত্তি বণ্টনে প্রথার ভূমিকা কী?
প্রথা অনুযায়ী কেবল পুত্রেরা উত্তরাধিকার পেত, যা এখন পাল্টেছে।
প্রশ্ন ১৯: ভারতীয় সংবিধান কি প্রথাগত আইনকে অনুমোদন দেয়?
শর্তসাপেক্ষে, যদি তা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী না হয়।
প্রশ্ন ২০: হিন্দু সমাজে মৃতদেহ দাহের প্রথার আইনগত স্বীকৃতি আছে কি?
হ্যাঁ, এটি সামাজিক ও ধর্মীয় রীতিতে স্বীকৃত।
প্রশ্ন ২১: প্রথাগত আইনের জন্য সাক্ষ্য কীভাবে প্রমাণিত হয়?
সমাজের সাক্ষ্য, ইতিহাস, নথি ও ধারাবাহিক ব্যবহার দ্বারা।
প্রশ্ন ২২: কোন কোন ক্ষেত্রে প্রথাগত আইন প্রাধান্য পায়?
যেখানে কোনো প্রণীত আইন নেই এবং প্রথাটি গ্রহণযোগ্য।
প্রশ্ন ২৩: ‘আচার’ ও ‘প্রথা’ কি একই?
না, আচার হলো ধর্মীয় রীতি, প্রথা হলো সামাজিক নিয়ম।
প্রশ্ন ২৪: হিন্দু আইন ও ইংরেজি সাধারণ আইন কিভাবে মিশেছে?
ব্রিটিশ আমলে ইংরেজি আইন হিন্দু আইনকে প্রভাবিত করে।
প্রশ্ন ২৫: হিন্দু প্রথায় বিবাহ বিচ্ছেদ অনুমোদিত ছিল কি?
না, তবে বর্তমানে আইনত অনুমোদিত।
প্রশ্ন ২৬: হিন্দু আইন সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য কী?
সমতা, ন্যায় ও আধুনিকতার প্রতিফলন।
প্রশ্ন ২৭: প্রচলিত রীতির ভিত্তিতে দত্তক গ্রহণ বৈধ?
হ্যাঁ, যদি তা সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন ২৮: প্রথাগত আইন কি সবসময় আদালতে টিকে থাকে?
না, যদি তা অযৌক্তিক বা বৈষম্যমূলক হয়, তাহলে তা বাতিল হয়।
প্রশ্ন ২৯: হিন্দুদের ধর্মীয় স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণ কি প্রথার অন্তর্ভুক্ত?
হ্যাঁ, অনেক মঠ ও মন্দির প্রথাগতভাবে পরিচালিত হয়।
প্রশ্ন ৩০: ভবিষ্যতে প্রথাগত আইনের অবস্থান কেমন?
যেসব প্রথা মানবিক ও সংবিধানসঙ্গত, সেগুলো টিকে থাকবে।

No comments:

Post a Comment