Find the Questions you Need

প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম ব্যক্তি বলিতে কি বুঝ?

বিভিন্ন প্রকার ব্যক্তি: ব্যক্তি, প্রাকৃতিক ব্যক্তি, কৃত্রিম ব্যক্তি, অজাত ব্যক্তি, মৃত ব্যক্তি ও পশুর আইনগত অবস্থা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল।

ব্যক্তি: বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১১ ধারায় ব্যক্তির সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যে অধিকার ধারণ, সংরক্ষন ও কর্তব্য পালনে সক্ষম তাদের ব্যক্তি বলা হয়।

স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক ব্যক্তি : যে সব জীবিত মানুষ রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত অধিকার ভোগ ও কর্তব্য পালন করে থাকে সে সব ব্যক্তিকেই স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক ব্যক্তি বলা হয় । এই সব ব্যক্তির অবস্থান আইন ও তত্ত্ব দ্বারা স্বীকৃত। 

আইনানুগ বা কৃত্রিম ব্যক্তি: কৃত্রিম ব্যক্তি বা আইনানুগ ব্যক্তি বলতে কোন বিশেষ সংস্থা বা প্রতিষ্টানকে বুঝায় যারা আইনের দৃষ্টিতে ব্যক্তিত্বের মর্যাদা লাভ করেছে। কোন কোম্পানী, কোন সংস্থা হল আইনানুগ বা কৃত্রিম ব্যক্তির উদাহরণ। কৃত্রিম ব্যক্তির আয়ু অসীম এবং ক্ষমতা আইন দ্বারা সীমাবদ্ধ। ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য : ১. অধিকার ধারণে সক্ষম, ২. অধিকার সংরক্ষনে সক্ষম, ৩. কর্তব্য পালনে সক্ষম । 

অজাত ব্যক্তি: যার এখনো জন্ম হয় নাই কিন্তু মাতৃগর্ভে আছে তাকে অজাত ব্যক্তি বলা হয়। বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৫৪ ধারায় বলা আছে, মাতৃগর্ভে সন্তান থাকলে আদালত মৃত্যুদন্ড মওকুফ করতে পারেন । ৩১২ ধারায় বলা হয়েছে, মা সেচ্ছায় গর্ভপাত করলে ৩ বছর কারাদন্ড ভোগ করতে হবে । ৩১৩ ধারায় বলা হয়েছে, জোরপূর্বক গর্ভপাত করালে দায়ী ব্যক্তির ১০ বছর কারাদন্ড হতে পারে । 

মৃত ব্যক্তি : মৃত ব্যক্তির ৩টি অধিকার আছে - ১. মৃত দেহের সুরক্ষা দিতে হবে । ২. মৃত ব্যক্তির সুনাম আইন দ্বারা সুরক্ষিত, ক্ষুন্ন হলে দন্ডবিধির ৫০০ ধারায় মামলা করতে পারবেন । ৩. মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির আইনগত সুরক্ষা দেয়া হয়েছে । 

পশুর আইনগত অবস্থা : দন্ডবিধির ৪২৯ ধারায় বলা হয়েছে, গৃহপালিত পশুকে হত্যা, বিকলাঙ্গ করলে ৫ বছর কারাদন্ড হতে পারে । কুকুর গৃহপালিত পশু হিসাবে গণ্য হয় না । পশু দিয়ে ট্রাস্ট করলে তা আইনগত বৈধ ।

No comments:

Post a Comment