Find the Questions you Need

Showing posts with label Muslim Law- মুসলিম আইন. Show all posts
Showing posts with label Muslim Law- মুসলিম আইন. Show all posts

ইসলামী আইনের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর?

ইসলামী আইনের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ নিম্নে ইসলামী আইনের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করা হলো-  

১। আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত সংবিধানঃ ইসলামী আইন মহা আল্লাহ কর্তৃক মানুষের প্রতি প্রেরিত সংবিধান, যা মানুষের আর্থিব ও অপার্থিব জগতের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে।

২। আল্লাহর নির্দেশ ও মহানবীর আদর্শ বাস্তবায়নঃ মানুষের রাষ্ট্রীয় সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনের সমস্ত কর্মকান্ডে আল্রাহর নির্দেশকে ও মহানবীর আদর্শকে বাস্তবায়ন করাই ইসলামী আইনের প্রধান বৈশিষ্ট্য বলে অভিহিত করা হয়।

৩। ঈমান ও বিশ্বাসঃ ঈমান ও বিশ্বাসই হল ইসলামী আইনের অনন্য বৈশিষ্ট্য।

৪। ধর্ম নির্ভরশীল ও নৈতিকতা ভিত্তিকঃ বিশ্বের অধিকাংশ দেশের আইন ধর্মের প্রতি উদাসীন। কিন্তু েইসলামী আইন সেক্ষেত্রে ধর্ম নির্ভরশীল এবং নৈতিকতাভিত্তিক বলে আখ্যায়িত।

৫। পরিবর্তনশীলতার প্রশ্নেঃ মুসলিম ব্যবহারতত্ত্ব পরিবর্তনীয় নহে। কারণ একমাত্র আল্লাহর এর প্রণেতা অন্যান্য আইন যেমন পরিবর্তন করে যুগোপযোগী করা হয় তেমনি যুগের পরিবর্তনের ফলে মুসলিম আইনের ব্যাখ্যা পরিবর্ধনের মাধ্যমে আইনবিদগণ জন-জীবনে এর প্রতিফলন ঘটাতে পারেন।

৬। পার্থিব ও পারলৌকিক কল্যাণসাধনঃ ইসলামী আইনের আকেটি বৈশিষ্ট্য হল এই যে, এই আইন মানুষের পার্থিব মঙ্গলের সাথে সাথে মানুষের পারলৌকিক কল্যাণের নিমিত্তে আল্লাহর আনুগত স্বাকার করে।

৭। কোরআন ও সুন্নাহর নির্দেশাবলী পালনঃ ইসলামী আইন কোরআন ও সুন্নাহর নির্দেশাবলী পালনে মানুষকে বাধ্য করে।

৮। কোরআন মোতাবেক জীবন যাপনঃ ইসলামী আইন শরিয়ত ভিত্তিক বিধায় এই আইন কোরআন মোতাবেক জীবন যাপন করতে নির্দেশ দেয়।

৯। ইহকাল ও পরকালের শাস্তি বিধানঃ এছাড়া, ইহকাল ও পরকালের শান্তি-শৃংখলা বিধান করাই মুসলিম আইনের অনন্য বৈশিষ্ট্য।

১০। পূর্ণ জীবন বিধানঃ সুমলিম বা ইসলামী আইনকে পৃথিবীর সমস্ত মানুষের জন্য একটি পূর্ণ জীবন বিধি হিসাবে অভিহিত করা হয়।

১১। দোজখের শাস্তি ও বেহেস্তের পুরস্কারঃ এই আইনে রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত শাস্তি বা পুরস্কারের বিধান ছাড়াও শেষ বিচারের আল্লাহ কর্তৃক দোজখের শাস্তি ও বেহেস্তের পুরস্কারের বিধান রয়েছে- যা অন্যান্য আইন হতে এক স্বতত্ব বৈশিষ্ট্য দান করেছে।

১২। গোপন অপরাধের প্রবণতা কমানোঃ এছাড়া ইসলামী আইনের  আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল যে, এই আইন সমাজে লোকচক্ষুর অন্তরালে সংঘটিত গোপন অপরাধের প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে এবং সৎ কাজ করতে উৎসাহ দান করে।

১৩। কোরআন ও সুন্নাহর পরিপন্থী হবেনাঃ ইসলামী আইনে কোরআন এবং সুন্নাহর বিপরীতে কোন আইন প্রণয়নের অনুমোদন নাই।

১৪। স্বয়ং সম্পূর্ণ আইনঃ সর্বোপরি, ইসলামী ব্যবহারতত্ব বা আইনবিজ্ঞান হল একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সুন্দর ও বিকশিত আইন, যার তুলনায় অন্যান্য পার্থিব আইন অসম্পূর্ণ ও মুসলিম আইনের মুখাপেক্ষী।

ইসলামী আইন কাকে বলে? What is Islamic Law?

ইসলামী মতানুসারে আইন হল কোরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াসের উপর প্রতিষ্ঠিত বিধানাবলী যার মাধ্যমে একজন মুসলমান তার সামগ্রিক কার্যাবলী পরিচালনা করে।

ইসলামী মতানুসারে আইন কোন নির্দিষ্ট ভূ-খন্ডের সার্বভৌম রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কর্তৃক গৃহীত আইন নয়। ইহা মূলতঃ পবিত্র কোরআনে আল্লাহর হুকুম সমূহ ‘ইলমা ইল ইয়াকিন’ এর মহানবীর নির্দেশিত পথ। তবে এই আইনকে কোন দেশের আইন হিসাবে গ্রহণ করতে বাধা নেই। স্যার আবদুর রহিমের মতে আইন হলো একজন মুসলমানের সর্ব ব্যাপারে ধর্ম কিংবা নৈতিকতাবোধ যা স্বয়ং আল্লাহর নিকট হতে প্রাপ্ত।

আইনবিজ্ঞানী কুলসন মুসলিম আইনের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন, মহান আল্লাহতায়ালার ঐশী ইচ্ছার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রকাশই হল মুসলিম বা ইসলামী আইন।এই সকল আইনসমূহ মুসলিম সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ইসলামী রাষ্ট্রের দিক-নির্দেশক হিসেবে কাজ করে।

ইসলামিক আইনের উৎস কি?

ইসলামিক আইনের উৎসঃ
চারটি প্রধান উৎসের উপর ভিত্তি করে ‍মুসলিম আইন গড়ে উঠেছে। যথা-
(ক) কুরআন, (খ) হাদিস, (গ) ইজমা ও (ঘ) কিয়াস

উল্লেখিত উৎসগুলি নিম্নে আলোচনা কর হলঃ-

 (ক) কুরআনঃ ইসলামি আইনের মূল ভিত্তি ও উৎস হলো কুরআন। ইসলামি আইনবিজ্ঞানে কুরআনের অবস্থান হলো প্রচলিত আইনবিজ্ঞানে সংবিধানের অবস্থানের মতো। কুরআনে বেশিরভাগ আইনের ক্ষেত্রেই সংক্ষিপ্ত মৌলিক আলোচনা করা হয়েছে। যেমন, কুরআনে নামাজ ও যাকাতের আদেশ করা হয়েছে। কিন্তু এগুলোর সময়, পরিমাণ ও নিয়ম-কানুন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়নি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কুরআনে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেমন মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন, হদ এবং যে সকল নারীদের সাথে বিবাহ অবৈধ। কুরআনে যেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়নি সেগুলো জানার জন্য হাদিসের সহায়তা নিতে হয়।