Find the Questions you Need

হিন্দু আইনের উৎসগুলি আলোচনা কর?

হিন্দু আইনের নিম্ন লিখিত উৎসগুলি পরিলক্ষিত হয়-

১। শ্রুতি (Sruti): স্র ধাতু হতে শ্রুতি শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। আক্ষরিক অথ্যে শ্রুতির অর্থ হল যা শ্রবণ করা হয়েছে। সুতরাং শ্রবণেন্দ্রিয় বা কর্ণ দ্বারা যা শ্রুত হয়েছে বা শোনা গিয়েছে উহাই শ্রুতি।ফলে, যে সকল দৈববাণী হিন্দু মনীষীগণের অন্তরে ধ্বনিত ও প্রতিধ্বনিত হয়েছে বা যে সকল বাণী তারা শ্রবণ করেছেন, উহাই শ্রুতি। ইহা হল হিন্দু আইনের অন্যতম উৎস। শ্রুতির অপর না হল বেদ। প্রাচীনকালে দেবতাগণ কর্তৃক প্রত্যক্ষভাবে যা বলা হয়েছিল এবং মুনিবগণ যা শ্রবণ করেছিলেন, পরবর্তীকালে মনিবর কৃষ্ণ দ্বৈপায়নক কর্তৃক উহা সংকলিত হয় িএবং ঐ সংকলিত শ্রুতিকে বেদ বলা হয়।

বেদ আবার চার খন্ডে বিভক্ত। (১) ঋক বেদ (২)  সামবেদ (৩) যদুবেদ ও (৪) অথর্ববেদ। এই চারটি বেদকে একত্রে শ্রুতিশাস্ত্র বলে অভিহিত করা হয়।

২। স্মৃতি (Smriti):

৩। ব্যাখ্যা অথবা নিবন্ধ (Commentaries):

৪। প্রথা (Custom):

৫। বিচারের সিদ্ধান্ত অথবা নজির (Judicial Decision):

৬। বিধিবদ্ধ আইন (Acts of Legislature):

৭। পুরাণ (Puran):

৮। সুবিচার ন্যায়পরতা ও সুবিচার (Justice, equity and good Conscience):

৯। ফ্যাকর্টাম ভ্যালেট (Factum Valet):

হিন্দু আইনের আধুনিক উৎস সমূহঃ

১। আদালতের সিদ্ধান্ত ও নজিরঃ মামলা নিস্পত্তির ক্ষেত্রে আইনগত জটিলতা সৃষ্টি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। জটিলতা নিরসন বা ক্ষুদ্ধ ব্যক্তি যথাযথ ন্যায় বিচার প্রাপ্তির জন্য উচ্চ আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে।যেমন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রমি কোর্ট কর্তৃক হিন্দু আইন বা যে কোন আইন সম্পর্কীয় কোন জটিল প্রশ্নের সিদ্ধান্ত পরবর্তী অনুরূপ বিষয়ের নজির হিসাবে সমাদৃত হয়ে থাকে।

২। বিধিবদ্ধ আইনঃ আইন সভা কর্তৃক প্রণীত বিধিবদ্ধ আইন ও হিন্দু আইনের আধুনিক উৎস। বিধিবদ্ধ আইন বা অধ্যাদেশসমূহ হিন্দু আইনকে অনেক পরিপূর্ণতা দান করেছে। নিচে এই ধরনের কয়েটি বিধিবদ্ধ আইনের উল্লেখ করা হল।
(ক) ১৮৫০ সালের জাতিভেদ অক্ষমতা দূরীকরন বা ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন।
(খ) ১৮৫৬ সালের হিন্দু বিধবা বিবাহ আইন।
(গ) ১৮৬৬ সালের ধর্মচ্যুত হিন্দুর বিবাহ রদ আইন
(ঘ) ১৮৭২ সালের বিশেষ বিবাহ আইন।
(ঙ) ১৮৭৫ সালের ভারতীয় সাবালকত্ব আইন।
(চ) ১৯১৬ সালের হিন্দু সম্পত্তি হস্তান্তর আইন।
(ছ) ১৮২৮ সালের হিন্দু উত্তরাধিকার অক্ষমতা দূরীকরণ আইন।
(জ) ১৯২৮ সালের শিশু বিবাহ নিরোধ আইন।
(ঝ) ১৯২৯ সালের হিন্দু উাত্তরাধিকার সংশোধনী আইন।
(ঞ) ১৯৩০ সালের বিদ্রার সাহায্যে অর্জিত সম্পত্তি বিষয়ক আইন।
(ট) ১৯৩৭ সালের সম্পত্তিতে হিন্দু নারীর অধিকার সংক্রান্ত আইন।
(ঠ) ১৯৩৭ সালের আর্য বিবাহ বৈধকরণ আইনসমূহ উল্লেখযোগ্য।

৩। সুবিচার ন্যায়পরতা ও সুবিচারঃ আইনের এমন সব জটিল বিষয় যা দেশের প্রচলিত আইন বা প্রথা দ্বরা নিস্প্রত্তিযোগ্য নয় তখন আদালত এই অযুহাতে তার সিদ্ধান্ত প্রদান থেকে বিরত থাকতে পারেন না। তখন তিনি উহা প্রচলিত আইনের সঙ্গে স্বাবিক ভারসাম্য রক্ষা করে নিজস্ব বিচার বুদ্ধি ঘটনা প্রবাহের সুষ্ঠু বিশ্লেষণ এবং সুবিবেচনা প্রসূত নিজেস্ব এখতিয়ার প্রয়োগ করেন।ইহা শুধু হিন্দু আইনে নয় আইন বিজ্ঞানের অপরাপর ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য।

No comments:

Post a Comment